আলোচিত আবরার হত্যা মামলার রায়ে চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড এবং বাকি ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদানে সন্তুষ্টি জানিয়ে দ্রুত রায় কার্য়করের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুৃরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আবরারের সহপাঠীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এতে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে নির্মম নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে সকলের আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা আবরারের পরিবারের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলতে চাই যেন, এ রায় শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে। এবং এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ, মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল জিসানকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাই পলাতকদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। বলা হয়, এ রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে যেন রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বলি হতে না হয়। সকল ক্ষেত্রে যেন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডিএসডবিøউ) প্রফেসর মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ রায় শুধুমাত্র বুয়েটের ক্ষেত্রে নয়, বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অবস্থানরতদের জন্য একটি কড়া বার্তা। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হলো যে, হলে অন্যায়ভাবে কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করলে এবং এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকলে আদালতের পক্ষ থেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করতে অতি উৎসাহীরা কয়েকবার চিন্তা করবে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন