শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লঙ্ঘন নয়, র‌্যাব মানবাধিকার রক্ষা করছে

সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

র‌্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা লুণ্ঠন করেনি বরং রক্ষা করে চলেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গতকাল শনিবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা অফিসিয়ালি এখনো কিছু জানি না। তবে যেটা গণমাধ্যমে এসেছে যে, র‌্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু র‌্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা লুণ্ঠন করেনি, বরং মানবাধিকার রক্ষা করে চলছে। মানবাধিকার রক্ষায় র‌্যাবের নয় হাজার সদস্যের ফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষা করতে গিয়ে র‌্যাবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আজাদসহ র‌্যাবের ২৮ জন শহীদ হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে ও মানবাধিকার রক্ষা করতে গিয়ে এক হাজারের বেশি সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। বিভিন্ন সময় দুই হাজারের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কিংবা মানবাধিকার রক্ষার্থে র‌্যাবের যে আত্মত্যাগ, তা অন্য কোনো বাহিনীর রয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এলিট ফোর্স হিসেবে কিছু ম্যান্ডেটের আলোকে র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ দমনেই র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আজকে র‌্যাবের আভিযানিক সাফল্যের কারণেই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ উত্তর বা দক্ষিণাঞ্চলসহ পুরোদেশে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। র‌্যাবের আভিযানের কারণেই সুন্দরবন নৌদস্যুমুক্ত হয়েছে। আমরা সুন্দরবনের নৌদস্যুমুক্ত তৃতীয় বার্ষিকী এবার পালন করেছি। বিশ্বের আর কোন দেশ এমন নৌদস্যুমুক্ত হয়েছে? করোনা মহামারিতে সন্তান তার বাবাকে, বাবা তার সন্তানকে ফেলে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে র‌্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তিনি বলেন, অফিসিয়ালি ডকুমেন্ট পেলে নিরীক্ষা করে যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

ক্রসফায়ার ইস্যুতে র‌্যাবের ভূমিকা প্রসঙ্গে খন্দকার আল মঈন বলেন, বিভিন্ন অভিযানে র‌্যাবের গুলিবিনিময়ে নিহতের কথা বলা হয়। যখন আমরা মাদক কিংবা জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যাই, যখন প্রতিরোধের শিকার হই কিংবা গুলির পর আত্মরক্ষার জন্য র‌্যাবও গুলি চালায়। এতে করে র‌্যাবের এক হাজারের বেশি সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। আত্মরক্ষার্থেই র‌্যাব গুলিবিনিময় করে। গুলি বিনিময়ের পর নির্বাহী তদন্ত হয়। যথাযথ তদন্তের পর গুলি বিনিময় যথাযথ ছিল কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করা হয়। মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারে। যদি যথাযথ না হয় তাহলে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:২৫ পিএম says : 0
কেয়ামতের দিন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সবার সম্মুখে প্রকাশ করে প্রকাশ করে দিবে কারা ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে কারা ঠান্ডা মাথায় গুম করেছে তারা ঠাণ্ডা মাথায় এমন ভাবে মানুষকে অত্যাচার করেছে যে অত্যাচার কারণে সে মারা গেছে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন