শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : ঘরে ঘরে পৌঁছান সংবিধান

প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সংবিধান একটি জাতির প্রধান চালিকাশক্তি। আশা-আকাক্সক্ষার সংক্ষিপ্ত বয়ান। গাইডলাইন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জানে, তাদের একটি সংবিধান আছে; কিন্তু হলফ করে বলা যায়, এতে কী আছে না আছে- দেশের অধিকাংশ মানুষ জানে না। কতজন বিশেষ এই পুস্তিকাটি চোখে দেখেছেন, হয়তো তাদের সংখ্যা হাতে গোনা যাবে। আর কতজন এটি অধ্যয়ন করেছেন তা হাতের কড়ে আঙ্গুলেও গোনা যাবে। অথচ এই সংবিধান পাওয়া একটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সরকারের তথ্য ও গণযোগাযোগ অধিকারের মধ্যে পড়ে। সরকারের তথ্য ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, আছে তথ্য মন্ত্রণালয়ও, এদের কাজ জনগণের কাছে তথ্য হাজির করা। কিভাবে পৌঁছানো যায় জনগণের দোরগোড়ায় এ সংবিধান? উপায় কি নেই, আছে। লাখ লাখ ছেলেমেয়ের হাতে বই পৌঁছানো হয় বিনামূল্যে। অষ্টম শ্রেণি অথবা এসএসসি পাস উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ স্মারক উপহার হতে পারে সংবিধান। এভাবে ঘরে ঘরে সহজে পৌঁছানো যেতে পারে সংবিধান। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তোফায়েল হোসেন খান
বিভাগীয় প্রধান, বাংলা
গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ।

সিএনজির ভাড়া
সরকার ইতোমধ্যে রাজধানীতে অটোরিকশা বা সিএনজিচালিত স্কুটারের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু তবু মানা হচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা অহরহ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এমনিতে কোনো সিএনজিকে প্রয়োজনের জায়গায় যেতে বললে যেতে রাজি হয় না। মিটার তো দূরের কথা, হয় চুক্তি অথবা মিটারের থেকে ৩০.৫০ বা ১০০ টাকা বেশি দাবি করে। অটোরিকশা-চালকদের কাছে যাত্রীরা আজ জিম্মি। এ ক্ষেত্রে সরকারি বাধ্যবাধকতা মূল্যহীন। ইতোমধ্যে অটোরিকশার ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। চালকদের অভিযোগ-সিএনজি অটোরিকশা মালিকরা সরকার নির্ধারিত হারের চাইতে বেশি জমা নিয়ে থাকেন। ফলে বাড়তি অর্থ আদায়ের চক্করে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যাত্রীরা। আশা করি, রাজধানীতে অটোরিকশা ভাড়া বিড়ম্বনা দূর করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪।

তিন টাকার নোট চাই
খুচরা লেনদেনের ক্ষেত্রে ছোট নোটের প্রয়োজন হয় বেশি। প্রতিদিন লেনদেন করতে গেলে আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। আমাদের দেশে এখন ১ টাকার কাগুজে নোট পাওয়া যায় না। কাগুজে নোট আছে ২, ৫, ১০, ২০ টাকার। দেখা যায় ৩ টাকার লেনদেন করতে গেলে নোটের অভাবে ৪ টাকা দিতে হয়। ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট সহজে পাওয়া গেলেও ১ টাকার নোট বা কয়েন সহজে পাওয়া যায় না। ৩ টাকা, ৭ টাকা, ১৩ টাকা, ১৭ টাকা, ২৩ টাকা, ২৭ টাকা, ৩৩ টাকা লেনদেন করতে বড় নোট দিলে দোকানি বা গাড়িওয়ালা ৩ টাকা ফেরত দিতে পারে না, অগ্যতা ২ টাকার নিতে হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এইসব ছোট লেনদেনে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ-মারামারিও ঘটে। নিত্য খরচের ক্ষেত্রে ১ টাকার সাশ্রয়ও গরিব জনগণের জন্য অত্যধিক আনন্দের। তাই লেনদেন সহজীকরণ করতে ছোট নোটের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিশেষত বর্তমানে ৩ টাকার নোট খুবই জরুরি। এটা বিবেচনায় রেখে ৩ টাকার নোট চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হারুনুর রশিদ আরজু
ছাগলনাইয়া, ফেনী।

কাপাসিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস প্রয়োজন
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিশাল এলাকা। এখানকার কাপাসিয়া উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার। এগারোটি ইউনিয়নে আরো নতুন মিটার বসবে। জোনাল অফিসে অনেক মিটারের আবেদন রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে আরো পঞ্চাশ হাজার গ্রাহক হবার সম্ভাবনা আছে। এ অবস্থায়, কাপাসিয়াবাদী যাতে নির্বিঘেœ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে পারে সে জন্য কাপাসিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. রেহান উদ্দিন
কাপাসিয়া, গাজীপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন