শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রং-বেরংয়ের ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে মানুষের ঢল নামে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল, বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশের, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীতে সেই বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার পর প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে সেই মুক্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান শহীদ বেদীর সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছে স্বাধীনতা। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
এরপর পর্যায়ক্রমে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদসহ আরও অনেকে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রেসিডেন্ট এবং বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে পরিদর্শন বইয়ে নিজেদের অনুভ‚তি প্রকাশ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে, তাদের শ্রদ্ধা জানাই। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তা অর্জন হয়নি। আজ দেশ থেকে গণতন্ত্র বিলীন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাক্সক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু তা হয়নি। আজ এই স্বৈরাচারী-কর্তৃত্ববাদীরা একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিরোধী দলকে নির্ম‚ল করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ঝুলিয়ে দিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে।
বেগম জিয়া আজ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাকে বিদেশে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আবারও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব এবং দেশকে মুক্ত করব ইনশা আল্লাহ। এসময় ঢাকা জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ব্যানারে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন৷
সকাল ৯টার দিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলে শামস পরশের নেতৃত্ব শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যুবনেতারা।
ফজলে শামস পরশ সাংবাদিকদের বলেন, এই বিজয়ের মর্যাদা রক্ষার জন্য আমাদের যুবসমাজ এবং নতুন প্রজন্মকে দেশ গঠনে ভ‚মিকা রাখতে হবে। তাদের সম্মানবোধ দেখাতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন, আমাদের প‚র্বপুরুষরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন, সেই ত্যাগের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই আমাদের যুবলীগের কাম্য। আমাদের যুবলীগ এবং যুবসমাজ আগামীর ভবিষ্যৎ সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দেবে।
এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় যুলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সকাল জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া ও সিনিয়র সহসভাপতি মহসিন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, আজ মনে হচ্ছে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা সার্থক হয়েছে। বিজয়ের দিনে আমার শহীদ ভাইদের জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছেন।
এ সময় জাতীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মুশফিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক জাফর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের দাবি, জাতীয় সরকার গঠন করা।
ক্ষমতাসীনরা সব লুটে নিয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের যে ম‚ল্যবোধ তা লুণ্ঠন হয়েছে। আজ এর বিরুদ্ধে আগামীর বংশধরদের লড়াই করে জনগণের অধিকার, ক্ষমতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আসম রব আরও বলেন, ‘ছাত্ররা নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়েছে, সরকার হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়েছেএ।
সকালে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, স্নাতকপ‚র্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও ম‚ল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাভার উপজেলা পরিষদ ও সাভার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডঃ এনামুর রহমান এমপি, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজীব।
ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। পরে লাল সবুজের পতাকা আর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে শহীদ বেদী। তবে সকালে দিকে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক দল, যুবদল, ছাত্রদল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, গণবিশ্ববিদ্যালয়, জাসদ, বাসদ, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাভার প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য।
নানা আয়োজনে ঢাবিতে বিজয় দিবস পালিত:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পালিত হয়েছে বিজয় দিবস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ভিসি ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া/প্রার্থনা করা হয়। বেলা ১২ টায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে পতাকা মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(ডুজা)। পতাকা মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র ( টিএসসি) থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার টিএসসি এসে শেষ হয়। পতাকা মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, ডুজার সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবির সহ সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় : মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কবিতা আবৃতি ও দেশাত্মবোধক গানের পরিবেশনা উপভোগ করেন ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, ¯œাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ¯œাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Sufia Akter ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:৪৮ এএম says : 0
এখন কি খোলা স্মৃতিসৌধ???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন