সিএনজি লাইন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে এক বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই শোডাউনে শতাধিক মোটর
সাইকেল,তিন শতাধিক অটোরিকশা ও কয়েক শত টমটম নিয়ে শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিয়ে উখিয়ার বিভিন্ন বাজার প্রদক্ষিণ করে শ্রমিক নেতারা।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে শোভাযাত্রাটি উখিয়া বাজার থেকে শুরু করে পালংখালী স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিমি পথ প্রদক্ষিণ করে উখিয়া স্টেশনে এসে পথ সভায় মিলিত।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি আনোয়ার সিদ্দিক মামুন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল হক,সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বাদশা,অর্থ সম্পাদক জুবাইদুল হক জুয়েল।
বক্তারা বলেন,বিলুপ্ত কমিটিতে যারা ছিলেন তার ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে। তারা ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করেছে। ওই কমিটির ছৈয়দ হোছন, আমির হোছেন ফাতে, শাহজানের যোগসাজশে সমিতির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছেন। তারা নিজেরা ঘরবাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছেন। শ্রমিকের টাকা দ্রুত ফেরত না দিলে উখিয়া-টেকনাফ অচল করে দেওয়া হবে হুমকি দেয়া হয়।
এছাড়া কুতুপালং স্টেশন, কচুবনিয়া রাস্তার মাথা, বালুখালী বাজার, থাইংখালী ও পালংখালী বাজারে পৃথক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি সলিম উল্লাহ,সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমদ,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক দিদার মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জয়,দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না,লাইন সম্পাদক জাফর আলম। সদস্য যথাক্রমে সিরাজ মিয়া, মোঃ হোছন, আব্দুল আলম, নুরুল হাকিম ও আব্দুর রহিম লালুসহ প্রায় দেড় ডজন নেতা।
এই সমাবেশে বিলুপ্ত কমিটির শ্রমিক নেতাদের কর্তৃক সমিতির১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি ওই ১২ কোটি টাকা ফেরত দেয়া না হলে উখিয়া-টেকনাফ অচল করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন শ্রমিক নেতারা।
এদিকে শ্রমিকনেতাদের এই হুমকি এবং বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাতের খবরে জনগণের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেখা দেয়। অনেককে বলতে শোনা গেছে কি মধু এই শ্রমিক সংগঠনে! সড়কে
মানুষকে জিম্মি করে পকেট কেটে বৈধ-অবৈধ গাড়ি চালিয়ে
এত টাকা লুটপাট? তার পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে তারা?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন