চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও তিনটি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুুষ্ঠিত হয়েছে রোববার (২৬ ডিসেম্বর)। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ, উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিজয়ী প্রার্থীর ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুঁড়েছে। গুলিতে ঠাকুরগাঁও, পটুয়াখালী ও সিলেট জেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সিলেটে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বৈটিকর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷
এ ঘটনায় আহত এক সাইকেল মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন।
নিহত সাইকেল মেকানিকের নাম আব্দুস সালাম (৪০)। তিনি লক্ষ্মীপাশা ইউপির রামপা দক্ষিণ ভাগ এলাকার বাসিন্দা।
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত ১
ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ এবং এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে হামিদুল ইসলাম (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার রুহিয়া থানার রাজাগাঁও ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদুল ইসলাম রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের মৃত তছির উদ্দীনের ছেলে।
রাঙ্গাবালীতে ভোটকেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল খালেক (৪৫) নামে এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর চরমন্তাজ ইউনিয়নে নয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তবে কার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে এখনো দায়িত্বশীল কোনো পক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তি মেম্বার প্রার্থী জিয়ার সমর্থক। নির্বাচন পরবর্তী ভোট গণনা নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মেম্বার প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের মধ্যে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন