কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ও রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের দুই প্রার্থী নিয়ে আ.লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে।
ইউনিয়ন আ.লীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, মনোনয়ন বোর্ড তথা দলের কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে মুরাদনগর আ.লীগের দায়িত্বশীল নেতারা ১৯নং দারোরা ইউনিয়নের প্রার্থী কামাল উদ্দিন খন্দকার ও রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নের প্রার্থী নাজমুল হক নাজিমের রাজনৈতিক অতীত রেকর্ড, পারিবারিক পরিচিতির বিষয়ে সঠিক তথ্য সরবরাহ না করায় আজকে আওয়ামী রাজনীতি পরিপন্থীরা দলের মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক পেয়েছে।
দারোরা ইউনিয়নের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কামাল উদ্দিন খন্দকার বা তার পরিবার কখনো আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদের আপন মামাতো ভাইয়ের ছেলে।
এ ধরনের মানুষ নৌকা প্রতীক পাওয়ায় দলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে। দারোরা ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে আমি যখন নৌকা নিয়ে নির্বাচন করি তখন সে চশমা প্রতীক নিয়ে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে। সে কখনো আ.লীগের রাজনীতি করেনি।
অপরদিকে রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নে আ.লীগের মনোনয়ন পাওয়া নাজমুল হক নাজিম বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। নাজিম থানা যুবদলের নেতা ছিলেন। তার পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির করেন, এমন দাবি ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা-কর্মীদের। তারা জানান, আ.লীগের আদর্শের বাইরের কেউ নৌকা পেলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়।
মুরাদনগর আ.লীগ সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ হোসেন আউয়াল জানান, দলীয় মনোনয়ন বোর্ড বিতর্কিত ও বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দেবে না বলে সব সময় বলে আসছে অথচ বাস্তবে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি। আমরা কখনই এমন কিছু মেনে নেবো না যা আমাদের দলীয় আদর্শকে কলঙ্কিত করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন