সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফের তোলপাড় সৃষ্টি করলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। এবার স্ত্রীর অভিযোগে সমালোচনার মুখে তিনি। স্বামী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন চিকিৎসক জাহানারা এহসান। তার এই জিডি ভাইরাল ফেসবুকে।
এরআগে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে সহযোগিতা চান সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের স্ত্রী চিকিৎসক জাহানারা এহসান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সহায়তা চান তিনি।
এই সংবাদ প্রকাশ হতেই সামাজিক মাধ্যমে তা দ্রুতই ভাইরাল হয়। মুরাদ হাসানের সমালোচনায় মেতে উঠেন নেটাগরিকরা। তার এমন অধঃপতন নিয়েও মন্তব্য করেন অনেকে।
জাহানারা এহসান ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ করেন, তাঁকে ও সন্তানদের মারধর, মানসিক নির্যাতন করা ছাড়াও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি বলেন, ‘মুরাদ হাসান কিছুদিন ধরে অকারণেই আমাকে ও সন্তানদের গালিগালাজ করছিলেন, চালাচ্ছিলেন মানসিক নির্যাতন। সেই সঙ্গে দিচ্ছিলেন হত্যার হুমকি।’
ফেসবুকে আজহার উদ্দিন শিমুল লিখেছেন, ‘‘একজন চিকিৎসক তার স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি হাসিঠাট্টার নয়। খুব গুরুতর ও সংবেদনশীল। চিকিৎসক নারীর স্বামী ডা মুরাদ হাসান সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান এমপি। একজন চিকিৎসক কতটা সঙ্কটে থাকলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন, তা অনুমেয়। সুতরাং অভিযোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে ভিকটিমকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’’
নাসির উদ্দিনের মন্তব্য, ‘‘ইসলামের পিছে যারা লেগেছে আল্লাহ তাদের চরম অপদস্থ করে ছেড়েন এর জলন্ত প্রমাণ মিষ্টার মুরাদ সাহেব। কিছু দিন আগে ওনার কথা শুনে মনে হচ্ছেলো এই বুঝি ইসলাম গেল। অতচ কয়েদিনের ব্যবধানে আজ তার কি পরিণতি। কোথায় গেলো তার ঝৌলসপূর্ণ ভাবসাব? এদেশে সংবিধানে ইসলাম থাকবে না থাকতে দিবেন না যখন সে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে আঙ্গুল গুলো লক্ষ করেছেন অনেকেই? ব্রেসলাইট পড়া সুন্দর মানুষটি কি সুন্দর করে আত্ববিশ্বাসের সাথে বলেছেন এ দেশে সংবিধানে ইসলাম থাকবে না। তিনি জীবিত থাকতে এ সংবিধানে ইসলাম থাকতে দিবেন না। এখন মুরাদ সাহেব তো জীবিত /মৃতপ্রায়। অতচ ইসলাম যেমন ছিল তেমন আছে ভবিষ্যতে থাকবে ইনশাল্লাহ। অতএব ইসলামের পিছু লেগে ইসলামরে কিছুই করা যায় না শুধু মুরাদরা শেষ হয়ে যায়!’’
ফজলুল হক গোলাপ লিখেছেন, ‘‘মুরাদ সাহেবের চরিত্র কেমন স্ত্রীও তো জেনে গেছে ইতোমধ্যে। তাছাড়া বেচারা মন্ত্রীত্ব হারিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থার মধ্যে দিন পার করছে সুতরাং, সংসার জীবনের সময়গুলো কেমন কাটছে তার এ নিউজ দেখেও আন্দাজ করা যায়। আহারে মুরাদ সাহেব, আবারো প্রমাণিত হলো সম্মান দেবার এবং কেড়ে নেবার মালিক একমাত্র আল্লাহ। এভাবেই যুগে যুগে মহান আল্লাহ ক্ষমতা দিয়ে কিছু মানুষ কে পরীক্ষা করে থাকেন।’’
মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘সত্যিকার অর্থে মুরাদ হাসানের মতো নেতাদের কেউই ভালোবাসে না, এমনকি নিজের স্ত্রীও না। ক্ষমতার দাপটে যা যতটা সেলুট দেয়, সবটাই ভয়ে। অন্তর থেকে শুধুই ঘৃণা নিঃসরিত হয় সর্বদা।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন