কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কথিত তাছের পীরের দরবার শরীফে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী কয়েকদফা হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে। এসময় দরবার শরীরের ভক্তদের ছোড়া ইটপাটকেলে ২জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর চরদিয়াড় গ্রামে তাছের পীরের দরবার শরীফে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে কথিত তাছের পীরের দরবার শরীফের বহিরাগত অনুসারীরা স্থানীয় এক নারীকে ইভটিজিং বা উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে দরবার শরীফের বখাটে যুবকরা ওই নারীর পিতাকে মারপিট করে এবং স্থানীয় লোকজনদের উচ্চস্বরে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। দরবার শরীফের বখাটেদের এমনকর্মকান্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কল্যানপুর, চরদিয়াড়, সোনাইকুন্ডি ও গাছেরদিয়াড় গ্রামের কয়েকশত মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে তাছের পীরের দরবার শরীফে হামলা চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দরবার শরীফ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে দরবার শরীফের ভেতরে থাকা বহিরাগত বখাটে অনুসারীরা দরবারের ভেতর থেকে হামলাকারী গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সামিউল (৫০) ও কিরন (২৫) নামে দুই গ্রামবাসী আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং জাকির নামে একজনকে আটক করে। দরবার শরীফে আগুনের খবর পেয়ে পাশর্^বর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দরবার শরীফে হামলা ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দরবার শরীফে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটালে খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন