ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রিয় পুত্র হিসাবে পরিচিত প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সম্মানসূচক সামরিক খেতাব বাজেয়াপ্ত করে নেয়া হয়েছে। ভার্জিনিয়া গিফ্রেকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বুধবার নিউইয়র্কের একজন বিচারক প্রিন্স এন্ড্রুর বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা খারিজ করতে অস্বীকার করার পর পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ওপর চাপ বেড়ে যায় যখন ১শ’ ৫০ জন সামরিক কর্মকর্তা রানীকে লিখেন যে, ৬১ বছর বয়সী অ্যান্ড্রæর ‘স্বচ্ছতা, সততা এবং সম্মানজনক আচরণ’-এর অভাব রয়েছে। তারপর বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেস রানীর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ব্রিটিশ মিডিয়া জানিয়েছে, রানী, জনসমক্ষে যার উপস্থিতি ক্রমবর্ধমানভাবে বিরল, তার রাজমুকুটের উত্তরাধিকারী চার্লস এবং তার নাতি প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে আলোচনার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডেইলি মেইল লিখেছে, ‘এটি যেকোনো মূল্যে রাজকীয় প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা এবং এটি সর্বদাই থাকবে।’ রাজকীয় ইতিহাসবিদ বব মরিস বলেন যে, এটি সম্ভবত তার জন্য শেষ পরিণতি। এখন তিনি তার রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা হারিয়েছেন এবং তিনি আর ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে তাকে লাইমলাইটের বাইরে ঠেলে দেওয়ার।’
মরিস বলেন, ‘রাজতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য এবং বিশেষ করে, প্ল্যাটিনাম জুবিলিকে রক্ষা করার জন্য একটি প্ল্যান বি কার্যকর করার মুহ‚র্তটি সত্যিই এসেছে।’ জুনের শুরুতে দেশজুড়ে চারদিনের উৎসবের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি সামরিক কুচকাওয়াজ, লন্ডনে একটি বড় কনসার্ট এবং একটি পুডিং প্রতিযোগিতা রয়েছে। ব্রিটিশ সরকারী কর্মকর্তারা শুক্রবার জানাতে রাজি হননি যে, তাকে বিশদ নিরাপত্তা প্রনয়ণে করদাতাদের অর্থ প্রদান করা অব্যাহত থাকবে কিনা। তিনি আগামী মাসগুলিতে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তার বাবা প্রিন্স ফিলিপের জন্য পরিকল্পিত স্মৃতির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। সূত্র: এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন