শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কোনো রাজনৈতিক দলেরই ইভিএমের নির্বাচনে যাওয়া উচিত নয় : তৈমূর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:১২ পিএম

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও দলটি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ‌কেউ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়। প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে, যারা নৌকা জেতানোর জন্য এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি মনে করি, ইভিএমে কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে যাওয়া উচিত না। আমি সর্বাবস্থায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে থাকব।

আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে এসব একথা বলেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে তৈমূর নাসিক নির্বাচনে আগে তার আটক কর্মী সমর্থকদের জামিনে ছাড়াতে নিজেই আইনজীবী হিসেবে লড়ছেন। তৈমূর বলেন, ‘যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা সকলেই কোনো না কোনভাবে আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ ড্রাইভার, কেউ অপারেটর। কেউ পোস্টার লাগানোর দায়িত্বে ছিল। কেউ রিকশার প্রচারণার দায়িত্বে ছিল। তারা রাত ১টা পর্যন্ত (১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচনের আগের দিন) আমার বাড়িতে অবস্থান করেছে। রাত ১টায় যখন তারা আমাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যায়, তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ নৌকার প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর জন্য এই লোকগুলোকে গ্রেফতার করে এবং আমাকে ফলস পজিশনে ফালায়।

তিনি বলেন, যে গাড়ির ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া ছিল, সেটা আমার চিফ এজেন্ট এ টি এম কামালের গাড়ি। সে গাড়ি, টাকা, কাগজসহ তারা নিয়ে যায় এবং পরে তা ফেরত দেয়। এই লোকগুলোকে তারা এতদিন হয়রানি করলো শুধু নৌকাকে জয়লাভ করানোর জন্য। এসপি-ডিসি বলেছিলেন নিরপেক্ষ থাকবেন। কিন্তু এই এসপির নেতৃত্বে আমার লোকগুলোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৫ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে এবং ২০০ লোকের বাড়িতে হানা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন হাতির ব্যাজ লাগানো লোককে গ্রেফতার করেছে। আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে ছেড়ে দিয়েছে।

তৈমূর অভিযোগ করে বলেন, নৌকার ভরাডুবিকে সামনে দেখে এই সরকার ও তার এজেন্সির কারণে ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমি অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যে নির্বাচনটা করেছি। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেছিলেন, তারা জামিন দেবেন, কিন্তু দেননি। আজকে তাদের জামিন হলো। এখানে আমার একটা ছেলে আছে জয়দেব মন্ডল। সে হিন্দু, আমার নির্বাচন করছিল। তাকেও ধরে হেফাজতের মামলায় দিয়ে দিয়েছে। এখন হিন্দুরাও হেফাজত করে। যারা জজ মিয়া নাটক বানিয়েছিল, সেই পুলিশ অফিসাররাই এসব নাটক করে সককারকে খুশি করতে আমার লোকজনকে জেলে নিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন