বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব প্রফেসর আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নামাজে জানাজা গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে পল্টন এলাকার মুসল্লি মকবুল হোসেনের জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান।
মরহুমের নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের মুসল্লিদের সাথে যেসব শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন তারা হচ্ছেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা জাফর সাদেক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি ড. মুশফিকুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণস এর সদস্য প্রিন্সিপাল ড. কফিল উদ্দিন সালেহী, বোর্ডের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বোর্ডের সাবেক সদস্য খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী, মরহুম মাওলানা সালাহ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন কবীর, মরহুমের ছোট ভাই মোসলেহ উদ্দিন মাস্টার, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমী, স্থানীয় কাউন্সেলর আবুল, রহমান জুয়েলার্স এর স্বত্বাধিকারী হাজী মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে বার্ধক্য জনিত কারণে শারীরিক অসুস্থতা অনুভূত হলে তার পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য ভক্ত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের ইন্তেকালে গতকালও যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা হচ্ছেন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট ও মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল করীম এবং মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের প্রধান ও পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের প্রেসিডেন্ট হযরত শাহ্সূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্ হাসানী।
তিনি ১৯৪৪ সালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া হাজবাদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ বাদ আসর ঝিগাতলা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিরপুরের মনিপুর বাবা হুজুর মসজিদের পাশে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের অনুমোদনে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে মাওলানা সালাহ উদ্দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি তিনি বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন