আফতাব চৌধুরী
শান্তির মা শহরের আখালিয়া এলাকায় বাস করেন। বয়স ৫৪ বছর। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি পান-সুপারির সঙ্গে সাদাপাতা ও জর্দা সেবন করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে মাড়ি দিয়ে রক্তপড়াসহ মুখ ব্যথার কারণে শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল এন্ড ম্যাক্তিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানালেন, শান্তির মার মুখে ক্যান্সার হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, বাংলাদেশে যত রোগীর মুখে ক্যান্সার হয়, তাদের শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগই সাদাপাতা ও তামকপাতা ব্যবহার করে থাকেন। এর ফলেই হয় ক্যানসার। তামাক ব্যবহারের ফলে অসুস্থতার চিত্রও ভয়াবহ। তার চেয়েও ভয়াবহ পরোক্ষ ধূমপানের বিষয়টি। ধূমপান না করেও নারী ও শিশুরা রয়েছে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। তামাকে বিদ্যমান রাসায়নিক পদার্থ নারী ও শিশুর শরীরে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে তারা পোহাচ্ছে নানান ভোগান্তি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) মতে, পৃথিবীতে প্রতিরোধ করা সম্ভব এমন মৃত্যুর মধ্যে বেশি মৃত্যু ঘটে তামাক সেবনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের লাখো নারী ও শিশু ধূমপান না করেও প্রতিরোধযোগ্য এ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে করা গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক শতকরা ৩০ ভাগ নারী কর্মস্থলে এবং ২১ নারী জনসমাগমস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি নারী। তবে প্রকৃত চিত্র এর চেয়েও ভয়াবহ। কারণ অনেক ‘সচেতন’ পুরুষকেও প্রায়শই বাসা-বাড়িতে ধূমপান করতে দেখা যায়। অবশ্য তামাক সেবনের চিত্র থেকে পরোক্ষ ধূমপানের বিষয়টি অনুমেয়। বাংলাদেশে শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ তামাক সেবন করে। এর মধ্যে পুরুষ শতকরা ৫৮ ভাগ আর নারী ২৯ ভাগ। পুরুষদের মধ্যে শতকরা ৪৫ ভাগ সিগারেট ও ২১ ভাগ বিড়ির মাধ্যমে ধূমপান করেন। এদের বেশিরভাগই দিনের কোনো না কোনো সময় বাসা-বাড়িতে ধূমপান করেন। আর তা ঘটে পরিবারের নারী ও শিশুর সামনেই। এ ছাড়া জনসমাগমস্থল বা পাবলিক প্লেসেও ধূমপানের চিত্র নিত্যদিনের।
তামাক বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাধুনিস-এর উপদেষ্টা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আব্দুল হাই এ প্রসঙ্গে বলেন, অসচেতনতার অভাবে পরোক্ষ ধূমপানের বিষয়টি আমাদের সমাজে বেশি ঘটছে। তিনি বলেন, পরোক্ষ ধূমপান থেকে নারী ও শিশুদের বাঁচাতে হলে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া তামাকজাত পণ্যের ট্যাক্স পর্যায়ক্রমে বাড়ালে তা ব্যবহারে অনেকেই নিরুৎসাহিত হবে। এতে করে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারও কমবে। ডা. হাই আরো বলেন, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারে সৃষ্ট রোগের নীরব মহামারি চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যক্ষ ধূমপানের মতোই পরোক্ষ ধূমপানে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্ট্রোক, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, ক্যান্সার এবং সন্তান জন্মদান-সংক্রান্ত সমস্যা হয়ে থাকে। ডব্লিউএইচও’র মতে, পুরুষদের ধূমপানের ফলে নারী ও শিশুরাও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া বাসা-বাড়িতে অনেকেই শিশু ছেলে-মেয়েদের সামনে ধূমপান করেন। এতে শিশুদের স্বাস্থ্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকির মুখে পড়ে। এসব পণ্যের উৎপাদন কমানোর পাশাপাশি দাম বাড়িয়ে দিলে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে মহামারি কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ’র ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের ফলে মুখগহ্বরের ক্যান্সার বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এ হার পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, পরোক্ষ ধূমপানে মুখের সমস্যার চেয়ে ফুসফুসে ক্যান্সারসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। ‘রিপোর্ট অন দ্য গ্লোবাল টোব্যাকো এপিডেমিক’ থেকে দেখা যায়, তামাকে বিদ্যমান উপাদানগুলোর মধ্যে নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাউড, বেনজোপাইরিন, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, পোলিনিয়াম-২১০ প্রভৃতি রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানান, বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যে এসব ছাড়াও অক্সিডেন্ট, অ্যামোনিয়া, টার, মিথাইলসহ চার হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি পদার্থ ক্যান্সার উৎপাদক বা কার্সিনোজেনিক হিসেবে পরিচিত। ক্ষতিকর পদার্থের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি অবদমিত করে মেধার পরিধি কমাতে ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া নিকোটিন রক্ত সংবহনতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতিসাধনের ফলে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ক্যান্সার, হাঁপানি, বার্জাজ ডিজিজ বা পায়ের পচন রোগ হতে পারে। পাশাপাশি তামাকের বিষাক্ত অক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন জৈব অণু যেমন- প্রোটিন, লিপিড, ডিএনএ ইত্যাদির অক্সিডেটিভ ড্যামেজ বা ক্ষতিসাধন করে। ধূমপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ফুসফুসের। পরোক্ষ ধূমপানেও এই ক্ষতির পরিমাণ স্বাভাবিক ধূমপানের মতোই। এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে ফুসফুসের যত ক্যান্সার হয় তার শতকরা ৯৫ ভাগই ধূমপানের কারণে হয়ে থাকে। পরোক্ষ ধূমপানেও এ ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কোনো অংশে কম নয়। তাই পরোক্ষ ধূমপান থেকে নারী ও শিশুদের বাঁচাতে আমাদের সবাইকে, বিশেষ করে ধূমপায়ীদের সচেতন হতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র অপর এক জরিপে দেখা যায়, অধূমপায়ীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাড়িয়ে দেয় পরোক্ষ ধূমপান। ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ। পাশাপাশি শিশুদের ‘সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোম’ বা এসআইডিএস নামে যে মারাত্মক রোগ দেখা দেয় তারও কারণ পরোক্ষ ধূমপান।
পরোক্ষ ধূমপানের ফলে নারী ও শিশুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ধূমপান না করেও ধূমপানের শিকার হওয়ার বিষয়টিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরজাহান খান বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের হার আতঙ্কজনক। ধূমপায়ীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা কঠিন। তাই পরোক্ষ ধূমপান কমাতে হলে অফিস-আদালতে এমনকি প্রয়োজনে বাসা-বাড়িতেও স্মোকিং জোন স্থাপন করা উচিত। তিনি বলেন, সন্তান ও নিজেকে বাঁচাতে নারীদের নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসে কেউ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ করতে হবে। স্মোকিং জোন ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে হবে।।
ডব্লিউএইচও’র রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে মোট ধূমপায়ীর ৬০ শতাংশ যে ১০টি দেশে বসবাস করে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্বে প্রতি ৬ দশমিক ৪ সেকেন্ডে একজন লোক মারা যায় ধূমপানজনিত কারণে। আগামী ২৫ বছরে বিশ্বে ২৫ কোটি শিশু-কিশোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানে মারা যাবে বলে মনে করছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ধূমপায়ীদের কাছে এখনও বিড়ি বেশ জনপ্রিয়। এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ধূমপানের হিসেবে বিড়ি সেবনকারীদের শতকরা ৯৮ ভাগই গরিব ও অশিক্ষিত। তাদের মধ্যে সচেতনতারও বেশ অভাব। হরহামেশাই পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যের সামনে বিড়ির মাধ্যমে ধূমপান করেন তারা। বাচ্চাদের মাধ্যমে বিড়ি ক্রয় ও ধরানো গ্রামাঞ্চলের একটি অতি সাধারণ দৃশ্য। আর এই বিড়ি স্বাস্থ্যের জন্য সিগারেটের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘দ্য এমপাওয়ার প্যাকেজ’ শীর্ষক জরিপ বলছে, বাংলাদেশেসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বিড়ি বেশি সেবন করা হয়। বিড়িতে সিগারেটের চেয়ে তিনগুণ বেশি কার্ব মনোক্সাইড ও নিকোটিন থাকে। পাঁচগুণ বেশি থাকে ‘টার’। বিড়ি সেবনকারীদের মুখগহ্বরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেশি।
পরোক্ষ ধূমপানের ফলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দেখা দেয় শারীরিক নানান জটিলতাও। এ প্রসঙ্গে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.এম.এ. মতিন বলেন, কোনো নারী গর্ভাবস্থায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হলে ভ্রƒণ অবস্থায়ই শিশুটি মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয়। তিনি বলেন, বাসায় শিশুর সামনে ধূমপান করা হলে ওই শিশুর নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা অন্য শিশুর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। পরোক্ষ ধূমপান কমাতে হলে পাবলিক প্লেসে ধূমপানকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। জানা গেছে, একটি সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ থাকে ২০ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম। এর মধ্যে এক থেকে দুই মিলিগ্রাম ধূমপায়ীর শরীরে প্রবেশ করে। বাকি নিকোটিন ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। এ কারণে স্বভাবতই তা ধূমপায়ীর আশপাশে থাকা অধূমপায়ীদের শরীরেও প্রবেশ করে। এ পরোক্ষ ধূমপানই নারী-শিশুর ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে নারীর গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটে থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া নারী তার প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি গর্ভবতী নারীর গর্ভেই তার সন্তানটি মারা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহানা ফেরদৌস চৌধুরী। ডা. চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী নারীর শরীরে নানা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এই পরোক্ষ ধূমপান। যেসব নারী প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ধূমপায়ীর সঙ্গে থাকেন তার স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ।
‘বাংলাদেশে তামাক-সংশ্লিষ্ট অসুস্থতার প্রভাব’ শীর্ষক এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে ১২ লাখেরও বেশি লোক তামাক-সংশ্লিষ্ট অসুস্থতার শিকার হন। দেশে তামাক সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর পরিমাণ প্রতিবছর ৫৭ হাজারেরও বেশি। সব ধরনের মৃত্যুর মধ্যে শতকরা ৯ ভাগই তামাক ব্যবহারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ২০০৪ সালের পর এ নিয়ে আর কোনো জরিপ চালানো হয়নি। গত ৪ বছরে এ চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তামাকবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের মতে, বছরে তামাক-সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর সংখ্যা দেশে এখন ৭৫ হাজার হতে পারে। এ মৃত্যুর হার কমাতে সচেতনতার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা। এ প্রসঙ্গে ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন- ইপসা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান বলেন, সচেতনতাই এবং ধূমপান আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে পরোক্ষ ধূমপান কমে আসবে।
২০০৭ সালে করা ডব্লিউএইচও’র আরেক জরিপ বলছে, তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ফল হিসেবে দেশে প্রতিবছর তিন লাখ ৮২ হাজার লোক পঙ্গুত্ব বরণ করেন। আর এর একটা বিশাল অংশ নারী ও শিশু। তামাক ব্যবহারের বিশ্ব পরিস্থিতিও ভয়াবহ। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর ৫৪ লাখ লোকের প্রাণ কেড়ে নেয় তামাক। পৃথিবীতে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১০ কোটি।
পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন পাস হয় ২০০৫ সালে। আইনটি কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে। আইনের মাধ্যমে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়। আইন ভঙ্গ করলে অনধিক ৫০ টাকা অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। তবে বাস্তবে এ আইনের কার্যকারিতা খুব একটা চোখে পড়ে না। দেখা যায়, যারা প্রতিরোধ করবে বা জরিমানা করবে তারাও খোলামেলাভাবে এমনকি মোটরসাইকেলে চড়েও ধূমপান করতে থাকে। এর ফলে বাড়ছে পরোক্ষ ধূমপানের ঘটনা।
লেখক- সাংবাদিক কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন