শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মির্জা তারেকুল কাদের, একটি বই ও তার ক্যান্সার চিকিৎসা

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৭ পিএম

নন্দিত জনসংযোগবিদ মির্জা তারেকুল কাদেরকে সাংবাদিক মহলে কে না চিনেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্স ফার্স্ট ব্যাচের ছাত্র ছিলেন তিনি। ছিলেন বুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা। আমি তার প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত বিজেমে ২০০৫ সালে একটি কোর্স করেছিলাম। সেখানে পরিচয় ঘটেছিল সাবেক মহামান্য প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জনাব তাজুল ইসলাম ও পিআইবির সাবেক ডিজি ড. রেজোয়ান সিদ্দিকীসহ খ্যাতিমান অনেকের সঙ্গে। আমার আনুষ্ঠানিক সাংবাদিকতার গুরু হিসেবে এখনো তাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি। শ্রদ্ধা করি। সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর ভাইয়ের একটি হৃদয়গ্রাহী পোস্ট দেখে উদ্বুদ্ধ হলাম মির্জা ভাইকে নিয়ে কিছু লিখতে।

মির্জা তারেকুল কাদের বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। দেশের একজন খ্যাতিমান জনসংযোগবিদ, লেখক, গবেষক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তার সাড়া জাগানো গ্রন্থ 'বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প'। ২০০২ সালে প্রকাশিত হয় জনসংযোগ বিষয়ক বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থ 'জনসংযোগ ও প্রকাশনা'। জানা দরকার, তারেক ভাইয়ের সর্বশেষ কাজটি ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছেন। এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার নতুন গ্রন্থ- 'জনসংযোগ ধারণা ও প্রয়োগ কৌশল'। বইটি অনেক বড়। সাড়ে আটশ পৃষ্ঠার, দাম রাখা হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা।

দেশের একমাত্র বেসরকারি সাংবাদিকতা ইনস্টিটিউট 'বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া' বিজেম থেকে অনেকে পড়াশোনা করে বিভিন্ন টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপনা, প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন। আমিও সেখানে কোর্সটি করার কারণে সাংবাদিকতার প্রতি কৌতুহলী হয়ে ওঠি। পরবর্তীতেও আমি অনেকবার বিজেমে গিয়েছি। তার মধুর ব্যবহারে প্রীত ও মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের এলাকার তিন বড় ভাই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক ও বুড়িচং উপজেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি জনাব এম এ মতিন এমবিএ তার প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন অতিথি হয়ে। সেখানে সেতুবন্ধন কারিগর ছিলাম আমি। তারেক ভাই একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। মাথা নুইয়ে বা হাত পেতে নয়, তিনি আমাদের কাছে একটি অমূল্য সম্পদ বিনিময় করতে চান। তার লেখা একটি দুর্লভ বই কিনেও আমরা তার পাশে দাঁড়াতে পারি।

জনসংযোগকে পেশা হিসেবে যারা নিতে চান তাদের জন্য তো এটি অবশ্যই পাঠ্য একটি বই। এছাড়াও প্রতিটি সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ বিভাগে এই বইটি থাকা খুবই জরুরী বলে মনে করি। কারণ, প্রতিষ্ঠানের যে কোনো প্রয়োজন, সংকট এবং যোগাযোগে এটি একটি দিশা হিসেবে কাজ করবে। আমি এই বইয়ের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। পাশাপাশি মির্জা তারেক ভাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আমাদের সবার মাঝে ফিরে আসবেন সেই প্রার্থনা করছি আল্লাহর কাছে। গ্রন্থটি যারা সংগ্রহ করতে চান তারা বিজেম এর ফোনে (০১৭১৫৮২২৭৭৮) যোগাযোগ করতে পারেন। এটি মির্জা তারেকুল কাদের ভাইয়ের ব্যয়বহুল ক্যান্সার চিকিৎসায় সামান্য হলেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং এই সময়ে তার পাশে দাঁড়ানোর অনন্য উপায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন