শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাষা শহীদ ভাষা সৈনিক লও সালাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। বাঙালির সংস্কৃতির ও মননের প্রতীক ভাষার দাবিতে পুরো মাসই ছিল আন্দোলনে উত্তাল। তাই ফেব্রুয়ারির প্রতিটি দিনই বাঙালি জাতির জন্য অহঙ্কার আর গৌরবের দিন। গৌরবময় চিরভাষ্কর দিনগুলোর মধ্যে ইতিহাসের পাতায় আজকের এই দিনটির ভিন্নতা আছে। ১৯৫২ সালের এইদিনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ১৫০ মোগলটুলির পূর্ববঙ্গ কর্মীশিবির অফিসে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সভায় সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার বিষয়ে। অলি আহাদের লেখা বইয়ের সূত্র অনুযায়ী এই সভায় সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহরে পতাকা দিবস পালনের। নানা পরিস্থিতির কারণে বেশি টাকা সংগ্রহ না হলেও পতাকা দিবসকে সামনে রেখে অনেক নতুন নতুন কর্মী এসে আন্দোলনে যোগ দেন। তখন ৫০০ পোস্টার লেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নাদিরা বেগম ও ডাক্তার সাফিয়াকে।

এই দুইজন অন্য বন্ধুদের নিয়ে পোস্টার লেখার কাজ সম্পন্ন করেন। এইদিন মাদারীপুরের প্রতিবাদী ছাত্ররা সাফল্যের সঙ্গে ধর্মঘট পালন করেন। তখনকার সময়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইত্তেফাকে এই খবরটি প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনের দাবিতে পূর্ববাংলার আন্দোলনকে নিয়ে তখনকার সময়ে পাকিস্তানি পত্রিকায় অনেক কল্পকাহিনী ছাপা হতো। ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রাদেশিকতা শিরোনামে এক সম্পাদকীয়তে লেখা হয় বাংলাকে অন্যতম পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্ররা যে আন্দোলন করছেন তা আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। ডন ছাড়া পাকিস্তানের অন্যান্য পত্রিকাও এ ধরনের সংবাদ বা সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হত। ডন পত্রিকার সম্পাদকীয়র প্রতিবাদ করেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অলি আহাদ। এভাবে ফেব্রুয়ারির দিনগুলোতে সকলে নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখেছেন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন