ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে খুলে গেল পৃথিবীর বৃহত্তম ইগলু ক্যাফেটেরিয়া। প্রকৃতির নিয়মে কাশ্মীর এখন বরফে ঢাকা। ফলে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। তার মধ্যে নতুন এই ক্যাফের সংযোজন নিঃসন্দেহে যে ভিড় আরও বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্যাফের নাম রাখা হয়েছে 'স্নোগলু'।
কাশ্মীরের গুলমার্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় স্কি রিসোর্ট এই ক্যাফে বানিয়েছে। ক্যাফেটি ৩৭.৫ ফুট লম্বা এবং ৪৪.৫ ফুট আয়তনে। 'সুইজারল্যান্ডে কয়েক বছর আগে এই ধরনের ক্যাফে দেখেছিলাম। সেগুলি অবশ্য হোটেলের মতো ছিল। অর্থাৎ, সেখানে থাকার ব্যবস্থাও ছিল। তখনই মনে হয়েছিল, কাশ্মীরেও প্রতি বছর প্রচুর বরফ পড়ে, সেক্ষেত্রে এমন কিছু একটা করা যেতেই পারে।' জানিয়েছেন, ইগলু ক্যাফের মালিক হোটেলিয়ার সৈয়দ ওয়াসিম শাহ।
গতবছরেই শেষ হয়েছে ইগলু ক্যাফের কাজ। শাহের দাবি, এতদিন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে ছিল সুইজারল্যান্ডে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নামও ছিল। কিন্তু, তার বানানো ইগলু ক্যাফে সেই ক্যাফের তুলনায় আয়তনে আরও খানিকটা বড়। ফলে এটিই বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে।
গত বছরে যে ক্যাফে চালু হয়েছিল, তাতে মাত্র ৪টি টেবিল ছিল। সর্বাধিক ১৬ জন ক্যাফেতে বসে খেতে পারতেন। কিন্তু, এ বারে তা অনেকটাই বড় করা হয়েছে। বর্তমানে ১০ টেবিলে ৪০ জন একসঙ্গে বসে খেতে পারছেন। শাহ জানিয়েছেন, ২৫ জন কর্মী দিন-রাত কাজ করে ক্যাফে বানিয়েছেন ৬৪ দিনের মধ্যে। ক্যাফের দেওয়ালের গভীরতা ৫ ফুট। মালিকপক্ষের আশা, ১৫ মার্চ পর্যন্ত ইগলু ক্যাফে চালানো সম্ভব হবে। তারপরে তা সাধারণের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
ক্যাফে খোলার পর থেকে মানুষের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্যাফেতে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরাও। উদ্বোধনের দিনেই বুক হয়ে গিয়েছিল সমস্ত টেবিল। ক্যাফে কর্তৃপক্ষের আশা, খুব তাড়াতাড়ি তাদের নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাবে।
ক্যাফে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইগলু ক্যাফেতে যারা খেতে আসবেন, তারা ১ ঘণ্টা সময় কাটাতে পারবেন ভিতরে। খুব বেশি হলে আরও কিছুক্ষণ যতক্ষণ না তাদের ঠান্ডা লাগছে। তারপরে সহ্যের সীমা ছাড়াবে ঠান্ডা। তাই আর চাইলেও বসতে পারবেন না সম্ভবত। সূত্র: জিনিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন