অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালী যাবার সময় ভূমধ্যসাগরে প্রচন্ড ঠান্ডায় মারা যাওয়া ইমরান হাওলাদারের মরদেহ গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুরে নিয়ে আসা হয় এবং শনিবার সকাল ৯টার সময় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, ভাগ্যেরচাকা পরিবর্তণ করতে গিয়ে একমাত্র ছেলে ইমরান হাওলাদার লাশ হয়ে ফিরবে এ শোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মা জামিলা বেগম। আজাহারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। শুক্রবার সকালে হযরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ইমরানের মরদেহ গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে মরদেহ একনজর দেখতে ভীড় করেন পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা শনিবার সকাল ৯টার সময় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ইমরানকে।
স্বজনরা জানায়, ধারদেনা করে দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সলেমান বেপারীর ছেলে মানব পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য সামাদ বেপারীর হাতে ৮ লাখ টাকা তুলে দেন ইমরানের ভ্যানচালক বাবা শাজাহান হাওলাদার। পরে আর কোন খোঁজই রাখেনি দালালচক্র। এই ঘটনায় দালালদের কঠোর বিচার দাবী করেছেন ¯ওস্বজনরা ও এলাকাবাসী।
ইমরানের চাচা মো. শওকত হাওলাদার বলেন, এলাকার অল্পবয়সী ছেলেদের প্রলোভন দেখিয়ে ইতালী নেয়ার কথা বলে দালালচক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসছে। দালালদের বিচার না হওয়ায় এই অপরাধ থামছেই না। আমরা দালালদের কঠোর বিচার চাই।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, গত ২২ জানুয়ারি অবৈধভাবে সমুদ্রপথে লিবিয়া হয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালী যাবার পথে প্রচন্ড ঠান্ডায় মারা যায় ৭ বাংলাদেশী। মারা যাওয়া ৭ বাংলাদেশীর মধ্যে ৫জনই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে দালালচক্রকে ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন