সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক স্থাপন করা হয়। এ গতিরোধক অনেক জায়গায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কোনো রুটে যারা নিয়মিত গাড়ি চালায়, কোন কোন স্থানে গতিরোধক আছে তা তাদের জানা থাকে। ফলে সে স্থানগুলো তারা সাবধানে অতিক্রম করে। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো চালক ওই রাস্তায় প্রবেশ করলে আগে থেকে গতিরোধকের অবস্থান তার জানা থাকে না।
সড়ক কালো রঙের, গতিরোধকও কালো রঙের হলে অনেক সময় দূর থেকে গতিরোধক দেখা যায় না। ফলে যথাসময়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঝাঁকুনিতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। গত ঈদে লাকসামের ছিলোনিয়া ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ মোট পাঁচজনের মৃত্যুর অন্যতম কারণ এটি বলে মনে করেন অনেকে। তাছাড়া গতিরোধকের কারণে ঝাঁকুনিতে সড়কে ট্রাক উল্টে যাওয়ার আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আমি নিজে মফস্বল সড়কে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে অনেক সময় এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তাই প্রয়োজনে সড়কে গতিরোধক স্থাপন করা হলেও তা অত্যধিক উঁচু না করা এবং রঙ দিয়ে ভালোভাবে চিহ্নিত করে দেয়া একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. ইয়াছিন মজুমদার
অধ্যক্ষ, ফুলগাঁও ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, লাকসাম, কুমিল্লা
পানি সংকট দূর করুন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাতিরপুলের নিকটস্থ সেন্ট্রাল রোডের কমিশনার গলির এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তীব্র পানি সংকটে রয়েছে। এই পানি সংকট বহুদিন ধরে চলছে। পানির নতুন লাইন স্থাপন করার পরও পানি সংকট দূর হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ওয়াসার লালমাটিয়া অফিসে বহুবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বর্তমান সরকার যেখানে জনগণের নানাবিধ সমস্যা দূর করে, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং সর্বস্তরের মানুষের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে ও কুড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে এ এলাকার এই তীব্র পানি সংকট দূর করা কোনো ব্যাপারই নয়। বিষয়টির ওপর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রচার করে এলাকাবাসীর উপকার করার জন্য কিছু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে (যারা জনগণের বিভিন্ন সমস্যার ওপর প্রতিবেদন প্রচার করে থাকেন) বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এ এলাকার এই তীব্র পানি সংকট দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নির্দেশনা প্রদানের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়কে সবিনয়ে অনুরো করা হলো।
আলতাফ হোসাইন রানা
সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা।
অতিরিক্ত ফি নয়
কিছু দিনের মধ্যে দেশের স্কুলগুলোতে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রতিবছর মাধ্যমিকসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় স্কুলগুলোতে ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা শিক্ষকরা হয়তো একে শেষ সুযোগ হিসেবে নেন। ইতিপূর্বেও আমরা দেখেছি যে, অনেক স্কুলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও অনেক লেখালেখি হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতেও এ প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক সময় শিক্ষকরা অভিভাবকদের কাছ থেকে যুক্তি দেখিয়ে টাকা নিয়ে থাকেন। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এ বছর যেন কোনো স্কুলেই ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পারে, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মো. আবু তাহের মিয়া
শিক্ষার্থী, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।
ডেমু ট্রেনে যাত্রী হয়রানি
গত ৮ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কুমিল্লা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ডেমু ট্রেনে চড়লাম। লাকসাম পৌঁছার পর বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা আসে, ট্রেনটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। সেটি এখন আর কুমিল্লা যাবে না। এ ঘোষণা শোনার পর অনেক শিশু ও নারীসহ কয়েকশ যাত্রীর মধ্যে হাহাকার পড়ে যায়। স্টেশন মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। তাই ট্রেনটি কুমিল্লায় যাবে না।’ অথচ ট্রেনটির ড্রাইভারের সাথে দীর্ঘক্ষণ ছিলাম; কিন্তু এ ধরনের কোনো সমস্যার কথা তাকে বলতে শুনিনি। ২টা ৫ মিনিটে আবার ঘোষণা আসে, ট্রেনটি কুমিল্লার উদ্দেশ্যে এখনই ছেড়ে যাবে। ‘আসলে অনেকে জানেন, বাস মালিক সমিতির সাথে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনৈতিক যোগাযোগ থাকার কারণে তারা রেলকে খোঁড়া বানিয়ে রাখতে চান। তাই যাত্রীদের এহেন হয়রানির কবলে পড়তে হয় বারবার। ডেমু ট্রেনের যাত্রীরা আর যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সোলায়মান চৌধুরী
লক্ষ্মীপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন