শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের রয়েছে একক ভূমিকা - উপাচার্য ড. আহসান উল্যাহ

ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ৯:৪৩ পিএম | আপডেট : ৯:৪৭ পিএম, ৫ মার্চ, ২০২২

ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেছেন, সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ১৬ মার্চ ঢাকায় আসছেন, তিনি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়েই আসছেন। তিনি সউদী আরবের অর্থায়নে যেই বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ইনিস্টিউট পরিচালিত হবে সেটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। আমরা সরেজমিনে গিয়ে কেরানীগঞ্জে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি ইনিস্টিউটের জন্য ৩ একর জমি নির্ধারণ করে দিয়েছি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল খরচ গুলো বাংলাদেশ সরকার বহন করলেও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে নতুন ইনিস্টিউট হবে সেগুলোর খরচ বহন করবে তারা। আগামী ১৬ মার্চ সুন্দরভাবে কর্মসূচিটি আয়োজন করা যায় সেই বিষয়ে আগামীকাল (আজ রবিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমাদের সভার আয়োজন করা হয়েছে। যেই ইনিস্টিউটটি হতে যাচ্ছে সেটি কেবল পৃথিবীর তিনটা দেশে রয়েছে,যার একটি হচ্ছে সউদী আরবের রিয়াদে এবং অন্যগুলো জাপানে ও ইন্দোনেশিয়ায়। এই ইনিস্টিউট যদি বাংলাদেশে হয় সেটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয় হবে। এছাড়াও আগামী ৩১ মার্চ বিকেলে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আমাদের ঢাকা কৃষি ইনিস্টিটিউটে একটি আলোচনা সভার আয়োজন হয়েছে। এইভাবে আমাদের সকল প্রোগ্রাম সেট করা আছে।

মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম যাতে সফলভাবে পরিচালিত হয় সেক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটিকে সচেষ্ট থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কারো বিন্দু পরিমাণ কষ্ট হয় সেটি কখনোই আমি চাইনি। যার ফলস্বরূপ আপনারা আমাকে এতো ফুল দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন, যারা এই ফুলের মান রাখতে জানেনা তাদের কাছে আসলে ভালো কিছু আশা করা যায়না। আপনারা আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, এটা আমার কাছে শুধু ফুল লয়,এটা আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সহযোগিতা করায় আমরা এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমাদের সহযোগী হয়ে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আমাদের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করেছে। আমি আশা করবো আগামীতেও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে। তিনি আজ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ছাগলনাইয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় ডাক বাংলায় মাদ্রাসা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শাববীর আহমদ মোমতাজী বলেছেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ঐক্য এবং শক্তিশালী করার পেছনে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লাবাসীর অনেক অবদান রয়েছে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ঐক্য ধরে রাখার পেছনে আপনাদের যে অবদান আমি তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। আমাদের মরহুম সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মান্নান ছিলেন চৌকস আলেম, বুদ্ধিমান ব্যক্তি, মেধা সম্পন্ন একজন বিজ্ঞ আলেম। তাকে কাছ থেকে যতটুকু দেখেছি তিনি একজন বড় মাপের আলেম ছিলেন, একজন আবেদ মানুষ, আল্লাহর অলি ছিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি বুদ্ধি এবং চিন্তা করে আমাদের জন্য একটি কমপ্লেক্স তৈরি করে দিয়েছেন। আমরা আইলা, সিডরসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকি। আমরা কোন ধরনের চাঁদা সদস্যদের কাছ থেকে ধরিনা এই ব্যবস্থাটা মাওলানা এম এ মান্নান চিন্তা করেছেন বলে সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন প্রতিষ্ঠা করেছেন ফুরফুরা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা ও ছারছীনা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর সাহেবসহ অনেক পীর মাশায়েখ। আমি যতটুকু দেখেছি ইতিহাস শুনেছি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাথে যারা গাদ্দারি করেছে মোনাফেকি করেছে, ভাঙ্গনের চেষ্টা করেছে তারা অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে, তাদের ক্যান্সার হয়ে গেছে, আমরা যারা আছি তারা সবসময়ে রয়েছি। একটি সংগঠনের সব সময় সুসময় থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সব সময় সুসময় গেছে।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় নেতা ও ফেনী শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ ভূঞার সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নুরুল আফছার ফারুকী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুপার মাওলানা মোঃ ইউনুছের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিদর্শক ড. জাবেদ আহমদ, সহকারী রেজিস্ট্রার জাকির হোসাইন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা এজহারুল হক, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মৌকারা দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা নেছার উদ্দিন ওয়ালী উল্যাহী, নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা ওয়াহিদুল হক, বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ, নারিন্দা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হেলাল উদ্দিন, কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা ও দরবেশ হাট ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম প্রমুখ। এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় নেতা ও ফেনী শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহাম্মদ ভ‚ঁঞার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন আবরারের বিবাহত্তোর সংবর্ধনা (বৌ-ভাত) অনুষ্ঠানে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শাববীর আহমদ মোমতাজীসহ আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন