৮ মার্চ ১৯৯৭১। শুরু হয় নতুন পর্যায়ের সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতে থাকে অসহযোগ আন্দোলন। হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে সাধারণ মানুষ এতে স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া দেয়। সারাদেশ চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও নির্দেশে। মুক্তি প্রত্যাশী মানুষের ঘৃণা আর প্রতিবাদের মুখে সেনাবাহিনী ব্যারাকে আশ্রয় নেয় এ দিন।
৭ মার্চের রেসকোর্সে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিলেও সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সব বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। বলা যায়, এটা করতে পাকিস্তান সরকারকে বাধ্য করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সিনেমা হলগুলোতে পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন ও পাকিস্তানি জাতীয় সংগীত পরিবেশন বন্ধ রাখে সিনেমা হল মালিকরা। সিনেমা হল মালিকরা সিনেমা কর না দেয়ার নির্দেশও মেনে নেয় স্বেচ্ছায়।
এ দিন ইয়াহিয়া খান নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে এই বলে বার্তা পাঠান, আপনি যা কিছু চেয়েছেন তার চেয়ে বেশি কিছু দিতে আমার আপত্তি নেই। আমি অচিরেই ঢাকায় আসছি, তখন বিস্তারিত আলোচনা হবে।
এ দিন নূরুল আমিন ও খান এ সবুর এক বিবৃতিতে অবিলম্বে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’ না লিখে শুধু ‘ছাত্রলীগ’ লেখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বঙ্গবন্ধু জনগণের মনে যে আগুন জ্বেলে দিলেন সে আগুন শুধু সামনেই ছুটে চলল। অসত্যের আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত জেনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এলো অপশক্তির বিরুদ্ধে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন