বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে উৎপাদন বাড়াতে হবে

অজয় কান্তি মন্ডল | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২২, ১২:১৪ এএম

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিগত দিনগুলোর মতো বহাল তবিয়াতে নিয়ন্ত্রণ বলবৎ আছে ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারদের। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, তেল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই, যার দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ের নাগালে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী রশি টেনে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ভোজ্যতেলের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। বিগত কয়েকদিন ধরে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত দফায় দফায় বাড়িয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। সরকারের পক্ষ থেকে বেশ হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়েছে বা এখনো হচ্ছে কিন্তু কোন ব্যবসায়ী সেগুলো কানে নিচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সরকারই সয়াবিন তেলের আমদানি ভ্যাটমুক্ত করে দিয়েছে। বাজারে এরও প্রতিফলন এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান করোনার সংক্রমণে প্রায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তখনই জনজীবনে দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির খাঁড়া এসে বিধল। করোনার অভিঘাত সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের ওপরই পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষ। নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। অনেকের চাকরি চলে গেছে, অনেকের আয় রোজগার কমে গেছে, অনেক মাঝারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে কত জন মধ্যবিত্ত, সে পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। ফলে এ সকল মানুষ খুব দ্রæত নিচের স্তরে নেমে গেছে। করোনাকালে চাল, ডাল, আটা, তেল, চিনি, সবজি, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাসা ভাড়া, পরিবহন ব্যয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ বেড়েছে। ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন কমেছে ঠিক তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ওষুধপাতি ও চিকিৎসা খরচ, কিন্তু আয় বাড়েনি।
একদিকে করোনা মহামারীর প্রভাব, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেইসাথে রমজানকে সামনে রেখে দেশের আড়ৎদার, মজুতদার তথা ব্যবসায়ী মহল নড়েচড়ে বসেছে। এসব মহল কথিত সিন্ডিকেট করে, পণ্য মজুদ রেখে, সুবিধামতো সময়ে বিক্রি করে দেশের জনসাধারণের জন্য দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজান আসলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং কিছু স্বার্থবাদী, সুবিধালোভী সিন্ডিকেটধারী মানুষ কৃত্রিম পণ্যসংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবে বিষয়গুলো সাধারণ জনগণ মেনে নিয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েকদিনের নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি অনেকটা বেমানান। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার একেবারেই বাইরে।
এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক সংস্থা ‘টিসিবি’ ট্রাকে করে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে গেছে যে, কোনোরকমে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার সংগ্রামে মধ্যবিত্তরাও এখন টিসিবির ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু টিসিবির পণ্যও যে এখন অনেকটা সোনার হরিণের মত হয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আপদকালীন মজুদ গড়ে তুলে প্রয়োজনীয় সময়ে ভোক্তা সাধারণের নিকট সরবরাহ করার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে টিসিবি’র যাত্রা। কিন্তু, টিসিবির মাধ্যমে মানুষের জন্য যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। একদিকে চাহিদার তুলনায় জোগানের অপ্রতুলতা, অন্যদিকে অবমাননাকর ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি দৌড়াদৌড়ি, হুড়োহুড়ি, প্রতিযোগিতার চিত্র প্রায়শই দৃশ্যমান। তাই কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এত সীমিত সংখ্যক টিসিবি’র পণ্য সরবরাহ আদৌ আশানুরূপ নয়।
দেশের নীতিনির্ধারকরা মিডিয়ার সামনে আসলেই বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল, উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে। কিন্তু বাস্তবে এই জোয়ারের পানির উচ্চতা কতটা সেটাই প্রশ্ন। খবরের কাগজগুলোর প্রধান শিরোনামে স্থান পায়, নারী অপহরণ, ধর্ষণ, খুন-খারামি, সড়কে মৃত্যুর মিছিল, ক্ষমতাবানের দখলে দুর্বলের জমি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে নৈরাজ্য, খাবারে ভেজাল ও বাজারে নকল ওষুধের দৌরাত্ম্য, সবকিছু মিলিয়ে মানুষের এখন নাভিশ্বাস। নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে যে, মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে না। এর জন্য প্রয়োজন সুষম বণ্টন। যিনি ভালো আছেন তার কাছে দেশ খুব ভালো চলছে। যিনি ভালো নেই তার কাছে ওই রোল মডেলে পেট ভরে না। তাই দেশের জিডিপি বাড়ুক, মাথাপিছু আয় বাড়ুক, আর উন্নয়নে ভারত-পাকিস্তান বা চীনকে ছাড়াই না কেন দেশের বেশীরভাগ মানুষের এগুলোতে কিছু যায় আসেনা। অর্থনীতির হিসাবে যেমন দেশে তিনটা সেনানিবাস আর চারটা মেডিকেল কলেজ বানালে জিডিপি বাড়ে। ঠিক তেমনি, মাসে ১০০ কোটি টাকা আয়ের একজন মানুষ ও ১ হাজার টাকা আয়ের একজনের মানুষের উভয়ের মাথাপিছু আয় ৫০ লাখ টাকার উপরে। সে ক্ষেত্রে ভিখারিও কোটিপতি। কাগজে-কলমে বাংলাদেশে এখন পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের মাথাপিছু আয় ৯০ হাজার টাকার বেশি। অথচ, বাস্তবতা ভিন্ন। তাই মাথাপিছু আয় নিয়ে লাফালাফি করার কিছু নেই। ওগুলো খাতা কলমে হিসাব করে খাতার ভিতরেই রেখে দেন। বাস্তব বুঝতে হলে টিসিবির লাইনের দিকে তাকান, তাহলেই অনুধাবন করতে পারবেন খাতা-কলমের হিসেবের সাথে বাস্তবতার ফারাকটা কোথায়। আর আপনাদের মতো উপর তালার মানুষদের জন্য। নিন্মবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের জন্য না। প্রকৃত বাস্তবতা দেখতে হলে মাঠে নামুন। বাজারের পরে সাধারণ মানুষের বাজারের থলির ওজন মাপুন। তারপরে বলুন তিনগুন বেড়েছে না পূর্বের তুলনায় অর্ধেক হয়েছে।
বিভিন্ন মিডিয়াতে আসা টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের ঢলের যে ছবিগুলো আমরা দেখি, তা থেকে সহজেই বোঝা যায়, মানুষের বর্তমান অবস্থা কেমন। নীতি নির্ধারকদের কেউ কেউ বলেছেন ‘মানুষ এখন চিকন চাল খায় বলে চালের দাম বেড়ে গেছে’। আবার অনেকেই আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য আনতে উপদেশ দেন, ভাত কম খেয়ে থাকতে। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনাদের সন্তানদের কি একটি দিন শিখিয়েছেন কিভাবে ভাত কম খেয়ে থাকতে হয়? যদি নিজেরা নাই পারেন তাহলে অন্যকে এই বুলি শোনাতে আসবেন না। পেটে খেলে পিঠে সয়। পেটে যেখানে ভাত পড়ে না, সেখানে আপনাদের এসব কথার ফুলঝুরি আর ভালো লাগে না। সাধারণ মানুষ রাজনীতি বোঝে না। তারা চায় সারাদিন কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পেট পুরে নিজে দু’মুঠো খেতে এবং সন্তান সন্তুতির মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে। তাদের যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে মাথাব্যথা নেই, আবার পোলাও বিরিয়ানি খাওয়ার মতো আবদারও তারা করে না। তাই এসব বাদ দিয়ে সকলের সুস্থভাবে খেয়ে পরার ব্যবস্থা করুন।
দেশে এখন মানুষের ভিতর আয় বৈষম্য বেড়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। সেইসাথে বেড়েছে লুটকারীদের সংখ্যা। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও মানুষের ভিতর আয়বৈষম্য এত বেশি ছিল না। তখন মানুষ গরিব ছিল কিন্তু লুটকারীদের সংখ্যা ছিল কম। সমসাময়িক সময়ে জনসংখ্যার সাথে লুটকারীদের সংখ্যা বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। দিনকে দিন এসব লুটকারীদের অনেকেই ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে স্ফিত হচ্ছে। এদের যত মোটাতাজাকরণ চলছে, ততই মানুষ বেশি সংখ্যায় দরিদ্রসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার নির্দিষ্ট আয় দিয়ে তার সংসারের ভরণপোষণ অনেকটা দুঃসাধ্য। শুধু দেশ উন্নত হচ্ছে এই আনন্দে আটখানা না থেকে কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মানকে সহজসাধ্য করা যায় সেদিকে নজর দিন। তা না হলে সকলে বিকল্প উপায়ে আয়ের পথ খুঁজতে থাকবে। তাতে করে দুর্নীতিবাজদের পাল্লা আরও ভারী হবে।
বিশ্ববাজারে কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেশের বাজারে পড়ার কথা। বলা হচ্ছে, আগামীতে এসব পণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন। আশংকার এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে আমাদের আমদানিনির্ভরতা কমানোর কোনো বিকল্প নেই। আর এই আমদানিনির্ভরতা কমানোর একটাই পন্থা, অভ্যান্তরিন উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন দেশের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে করা হলে পণ্যের সংকট মোচন ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করার চক্রান্ত থামানো সম্ভব হবে। নীতিনির্ধারকদের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলতে হয়, খাদ্যে যদি দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, তাহলে কৃষিনির্ভর একটি দেশে খাদ্যের কৃত্রিম সংকট কিভাবে তৈরি হয় আমাদের জানা নেই। কৃষকের প্রাপ্য ন্যায্যমূল্য বুঝে দিয়ে যদি কৃষিপণ্যের মজুদ নিশ্চিত করা যায় তাহলে বছরের ১২ মাসই যেকোন পণ্যেরই আবাধ সরবরাহ থাকবে। বাইরের দেশের প্রতি তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকার চেয়ে নিজের দেশের ভিতর সেসব পণ্য উৎপাদন ঢের ভালো। তাহলে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা সহ অনেক পণ্য আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারব।
আমরা দেখেছি বাইরের দেশগুলোতে প্রচুর পরিমানে বøান্ডিং ভোজ্যতেল পাওয়া যায়। সয়াবিন তেলের সাথে ভুট্টা, বাদাম, সরিষা, অলিভ, সূর্যমুখী, তিল সহ খাওয়ার উপযোগী বহু বীজ থেকে তেল উৎপাদন করে সেগুলো বাজারজাত করা হয়। এসব তেলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। আমাদের দেশেও এধরণের ভোজ্যতেল উৎপাদন করা যায় কিনা সে বিষয়ে নজর দেওয়া যেতে পারে। এসব তেলের কাঁচামাল, যেমন: ভুট্টা, বাদাম, সরিষা, অলিভ, সূর্যমুখী, তিল ইত্যাদির উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনে দ্রæত বর্ধনশীল ও হাইব্রিড জাতের বীজ চাষ করা যেতে পারে। সেইসাথে কৃষকদের উক্ত জাতের ফসল ফলাতে উদ্বুদ্ধ করে প্রয়োজনে তাদের ভর্তুকির ব্যবস্থা করা যাতে পারে।
কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভরা মৌসুমে অধিক উৎপাদনে যেসব কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য কৃষক পায়না সেসকল পণ্যের সঠিক উপায়ে গুদামজাতের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে আন-সিজনে এসকল পণ্যে বাজারে সরবরাহ করে জনগণের চাহিদা মেটানো যায়। টিসিবি পণ্যের সহজলভ্যতা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সহজলভ্যতা ও সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কার্যক্রম বা খোলাবাজারে চাল বিক্রি করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী কিংবা দরিদ্র ও নি¤œবিত্তসহ দেশের সকল মানুষকেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। অনিয়ম দেখলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর আমাদের হাত নেই সত্য। কিন্তু, যেসব পণ্য দেশে উৎপন্ন হয়, সেসব পণ্যের দাম কেন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেল, এসব বিষয় খুঁটিয়ে দেখতে হবে। সেইসাথে আমদানি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কত বেড়েছে, আর অভ্যন্তরে কত বাড়ানো হয়েছে, সেসব মিলিয়ে দেখতে হবে। যারা অধিক মুনাফা লাভের লক্ষ্যে পণ্যাদির মূল্য বাড়িয়ে যাচ্ছে, তদুপরি মানুষের কষ্ট, দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে তারা রেহাই পেতে পারে না। সরকারকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
ajoymondal325@yahoo.com

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন