শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শবে বরাতের রাতে আজিমপুর কবরস্থানে মানুষের ঢল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২২, ৯:৪১ এএম

সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালিত হয়েছে পবিত্র শবে বরাত। এ উপলক্ষে স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আজিমপুর কবরস্থানে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। গতকাল শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে আজিমপুরের পুরোনো ও নতুন কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায় লোকে-লোকারণ্য পুরো এলাকা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কবরস্থানে প্রবেশের তিনটি গেট দিয়ে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করছেন। কেউ কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হাত তুলে মুনাজাত করছেন, কেউ পাঠ করছেন দুরুদ শরীফ আবার কেউবা কোরআন শরীফ।
কবরস্থানে আগতরা জানান, শবে বরাতের বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে প্রিয়জনের মাগফেরাত কামনা করতে এসেছেন তারা।
গাজীপুর থেকে বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, আমি প্রায় শুক্রবারই বাবার কবরে আসি। জিয়ারত করি। তার জন্য দোয়া করি। আজও গাজীপুর থেকে এসেছি। শবে বরাত উপলক্ষে দিনের বেলা না এসে রাতে এসেছি।
ভাইয়ের কবরের পাশে অশ্রুসিক্ত চোখে মোনাজাত করতে দেখা গেল আব্দুল কাইয়ুম নামের আরেকজনকে। তিনি বলেন, আট মাস আগে আমার বড় ভাই হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। খুব অল্প বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। প্রায় সময়ই ভাইয়ের শূন্যতা বোধ করি। যখনই সময় পাই তখনই এখানে আসি। আজ শবে বরাতের রাতে কবর জিয়ারত করতে এসেছি।
লালবাগ থেকে মায়ের কবর জিয়ারত করতে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন রাশেদ হাসান। তিনি বলেন, আমরা মাঝে-মধ্যেই এখানে আসি কবর জিয়ারত করতে। তবে আজ তো একটি বিশেষ দিন তাই ছেলেদের নিয়ে এসেছি।
শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আজিমপুর কবরস্থানে দুপুর থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ লাখ মানুষের সমাগম হয় বলে জানান কবরস্থানের ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শবে বরাতের দিন দুপুর থেকেই মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। পরদিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ লাখ লোক এখানে আসেন তাদের প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করতে। মূলত রাত ১১টা থেকে ফজর পর্যন্ত মানুষের চাপ বেশি থাকে।
করোনার কারণে গত দুই বছর কবরস্থানের কাউকে জনসমাগম করতে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় গত দুই বছর এমন জনসমাগম করতে দেওয়া হয়নি। এ বছর যেহেতু বিধিনিষেধ নেই, তাই মানুষের ঢল নেমেছে। কবরস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা ডিউটি করছেন। এছাড়া তিনটি গেটে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন