শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : আইসিটি শিক্ষকদের আবেদন

প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১২ সালে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন ৫ হাজার ৭২ জন শিক্ষক। অথচ তাঁরা ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা বেতনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান করে আসছেন। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের বেতনভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানই এতে আগ্রহী নয়। ফলে তীর্থের কাকের মতো শিক্ষকবৃন্দ চেয়ে আছেন সরকারের দিকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছর ২৮ এপ্রিল এক পরিপত্র জারি করে এবং তাতে বলা হয় ‘পরবর্তী সিন্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতনভাতাদি স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।’ আক্ষরিক অর্থে এটি এক ধরনের প্রতারণাও বলা যায়। যেখানে এমপিওভুত্ত শিক্ষকদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে সেখানে আইসিটি শিক্ষকদের আশার আলো দেখিয়ে আবার নিরাশ করা হয়েছে। তবে আশার কথা এই যে, এ বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইসিটি বিষয়সহ বিজ্ঞান ও চারুকলা বিষয়ের ১৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষাকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এত কিছুর পরও শিক্ষকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তীরে এসে তরি ডুবে যাবে না তো? পরিশেষে, আমাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে যথাশীঘ্র সম্ভব এমপিওভুক্তির জন্য সকারে কাছে সনির্বন্ধ আবেদন জানাচ্ছি।
মিহির রঞ্জন তালুকদার
শিক্ষক, বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বালাগঞ্জ, সিলেট।

ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে বিশ্রামাগার চাই
রেলওয়ের পেনশনধারীগণ যাতে দু-তিন ঘণ্টা বসে থেকে মাসিক পেনশন সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য ঢাকা স্টেশনে একটি বিশ্রামাগার রয়েছে। ময়মনসিংহ স্টেশনেও তেমন একটি বিশ্রামাগার প্রয়োজন। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ২০১১ সালে আবেদন করা হয় এবং তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি মিললেও পেনশনধারীদের বসবার জন্য আজো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে ময়মনসিংহ স্টেশন মাস্টারের রুম ও পুরাতন প্রথম শ্রেণির বিশ্রামাগার দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অতীব দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, ময়মনসিংহ স্টেশনের পেনশন অফিসে কয়েকজন মহিলা প্রবেশ করলে তাদেরকে অফিস থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা কত বড় একটা লজ্জা ও অপমানজনক ব্যবহার। বিশ্রামাগার থাকলে মহিলারা অফিসে ঢুকতেন না। প্রসঙ্গত, স্টেশনে প্লাটফর্ম এলাকায় বিশ্রামাগার বাদে বাকি কক্ষগুলো দাফতরিক কাজে ব্যবহার হয়। পেনশনধারীগণ বয়োবৃদ্ধ ও অধিকাংশই অসুস্থ। তাদের জন্য ময়মনসিংহ স্টেশনের প্রথম শ্রেণির পুরাতন। বিশ্রামাগারটি প্রয়োজনীয় মেরামত করে দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
যোসেফ সি আর কর্মকার
সভাপতি, রেলওয়েম্যান্স (অব) কল্যাণ পরিষদ, ময়মনসিংহ শাখা।


মহিলাদের যাতায়াত সমস্যা
প্রতিদিন চাকরিজীবীদের কাজে যোগদানের জন্য কর্মস্থলে যেতে হয়। যাঁরা বাসে যান তাদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। কোনো বাসস্টপেজে দাঁড়ালে দেখা যায় বিড়ম্বনার দৃশ্য। কত যে কষ্ট করে বাসে উঠতে হয়, তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের কষ্টের সীমা নেই। অনেক সময় বাসের কনডাক্টর মহিলা যাত্রীদের বাসে উঠতে দিতে চায় না। একটি স্বাধীন দেশে মহিলা চাকরিজীবী ও ছাত্রীদের জন্য এটি একটি করুণ দৃশ্য। বাসে বহু মহিলা যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন। এ কারণে প্রতি রুটে বিআরটিসি বাস থাকতে হবে। প্রতিটি বাসে মহিলা যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিতে হবে অন্তত ২০টি সিট। সামনের দরজা দিয়ে মহিলাদের বাস ওঠা ও নামার জন্য নির্দেশিকা লেখা থাকতে হবে। কোন বাস কোন রুটে যাবে তাও লেখা থাকবে। আশা করি এই ব্যবস্থা করলে মহিলা যাত্রীরা সহজে বাসে উঠতে-নামতে পারবেন। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেতা মহিলা সেই দেশের মহিলাদের যাতায়াতের ব্যাপারে সরকার একটু সদয় দৃষ্টি দিলে বিড়ম্বনার হাত থেকে মহিলা যাত্রীরা রক্ষা পাবেন।
যোসেফ রায় (পল্টু)
৪৭/এ, পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা-১২১৫।
৪১, আবদুল হাদী লেন, বংশাল, ঢাকা।

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না
গাড়িতে চড়লে বা রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় চোখে পড়ে গাড়ির চালক অথবা মোটরসাইকেল চালক চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলেন। মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্নরকম কথা (যেমন ভালো-মন্দ, আন্দন-বেদনা, শোক) হয়ে থাকে। ফলে গাড়ি চালানোর সময় মনোযোগ অন্যদিকে যাওয়া অস্বভাবিক নয়। এতে করে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অকালে প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বিশেষভাবে চালকভাইদের অনুরোধ করছিÑগাড়ি চালানোর আগেই মোবাইল ফোনটি বন্ধ করুন-অথবা সাইলেন্ট করে রাখুন। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ-গাড়ি চলন্ত অবস্থায় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রতি বিশেষ আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করুন। যেন চলন্ত অবস্থায় কোনোক্রমেই মোবাইল ফোন ব্যবহার না করেন। আসুন আমরা সবাই মোবাইল ফোনের যথাযথ ব্যবহারে সচেতন হই।
মো. আনোয়ার হোসেন
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট শেরেবাংলানগর, ঢাকা-১২০৭।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন