রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : ফ্রান্সে বাংলাদেশীদের দুরবস্থা

প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজ বা চাকরির সন্ধানে অনেক বাংলাদেশী তরুণ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, ফুটপাত ও মেট্রো রেলস্টেশনের অভ্যন্তরে সামান্য ফুল-ফল, খেলনা ইত্যাদি বিক্রি করে কঠিন জীবন যাপন করছে। তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দীর্ঘ ৫-৭ বছর ধরে এখানে কাজের সন্ধানে এসে বৈধ কাগজ বা ওয়ার্ক-পারমিটের অপেক্ষায় তারা দিনের পর দিন প্রহর গুণছেন। তবে প্যারিসের অনেক মানবাধিকার সংগঠন, ফ্রান্স-বাংলা প্রেসক্লাব, স্থানীয় বাংলা সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে সোচ্চার। বর্তমানে ফ্রান্সে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। জিনিসপত্রের দাম অনেকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থা করুণ ও শোচনীয়। এখানে খাওয়া খাবার খরচ বেশি হওয়াতে কাগজ না পাওয়া বাংলাদেশী তরুণদের এক বিরাট অংশ যেভাবে কষ্ট ও দুঃখের মধ্যে জীবন যাপন করছে দেখে ব্যথিত না হয়ে পারা যায় না। বিদেশে বাংলাদেশের মানুষ বেঁচে থাকার জন্য যে অমানবিক ও করুণ জীবন যাপন করে, সে ব্যাপারে যদি সেখানকার দূতাবাসগুলোর একটু সুদৃষ্টি থাকে তাহলে দেশের কি-বা ক্ষতি হয়? প্রয়োজনে ফ্রান্সে অবস্থানরত হাজার হাজার বাংলাদেশীর বৈধ কাগজ-পত্র প্রাপ্তিতে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
সম্প্রতি প্যারিস আক্রমণ হবার পর ফ্রান্সের অবস্থা যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো। ঘরে ঘরে সন্ত্রাসীদের ধরতে, তল্লাশি করতে ও সিরিয়ায় বিমান হামলায় আমেরিকা, ইউকে, রাশিয়া, ইউরোপীয় দেশসমূহ ও জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইল ফ্রান্স। উদ্বেগের বিষয়, মুসলিম হিসেবে ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের অবস্থান তেমন বেশি ভালো নয়। আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে চলছে তাদের জীবনযাত্রা। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে বাংলাদেশীরা এখন প্যারিসের পথে-ঘাটে ফল-মূল বিক্রি করতে ভয় পাচ্ছে। প্যারিসেৎ হামলায় বাংলাদেশের অবস্থানে ফ্রান্স সরকার সম্ভবত সন্তুষ্ট। ধীরে ধীরে প্যারিসের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও মাঝে মাঝে হামলাকারীদের সাথে ফরাসি যৌথ-বাহিনীর সংঘর্ষ হতে দেখা যায়। তবে ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক থাকার কারণে আগামীতেও ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টি অব্যাহত থাকবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের ঘোষণা, ফ্রান্সে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি। যেহেতু ফ্রান্স শিল্প ও সাহিত্যের দেশ। মানবাধিকার নিয়ে ফ্রান্স সন্ত্রাস দমনে প্রচেষ্টা চালাবে। যুদ্ধ নয়, শান্তি হোক ফ্রান্সের আগামী দিনের প্রচেষ্টা। ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের দুরবস্থা দূর করতে এবং তাদের বৈধ কাগজপত্র পেতে সহযোগিতা করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
আরসিম গেট, ফরিদাবাদ-গে-ারিয়া,
ঢাকা-১২০৪।

ঈদের ছুটি বাড়ানো হোক
মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব। তাই জীবিকা-নির্বাহের জন্য কর্ম অপরিহার্য। তাই তো কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে চাকরি করতে হয়। ছুটির ক্ষেত্রে চাকরিজীবীরা সর্বদাই বঞ্চিত। ছুটি খুব স্বল্প হওয়ার কারণে শুধুমাত্র ঈদের ছুটি ছাড়া অন্য সময় ছুটি কাটানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। ঈদের ছুটি মাত্র তিন দিন যা চাকরিজীবীদের জন্য কঠিন নির্যাতন। একজন চাকরিজীবীর বাড়ি যদি পঞ্চগড়ে হয়, আর কর্মসংস্থান যদি হয় রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম তাহলে ঈদের তিন দিনের ছুটি কাটানোর জন্য কি তার বাড়ি যাওয়া সম্ভব? চাকরিজীবীদের স্বস্তিতে ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ছুটি বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
গ্রাম-আছানধনী মিয়াপাড়,
ডাক-চাপানী হাট, উপ-ডিমলা
জেলা-নীলফামারী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন