শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মিথ্যামুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে সোচ্চার হতে হবে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৪১ পিএম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, মিথ্যাকে বলা হয় সকল পাপের জননী। মিথ্যা কতটা ধ্বংসাত্মক ও ভয়ঙ্কর হতে পারে তা বিবেকমান মানুষ মাত্রই জানেন। যে মিথ্যা সব কল্যাণ ধ্বংস করে সে মিথ্যা পরিত্যাগ করে মিথ্যামুক্ত সমাজ গঠন করতে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে অর্পণ দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সুপরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশে একটি মিথ্যামুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আব্দুল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান।
ফরিদুল হক খান আরো বলেন, যে দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ভাষার অধিকার রক্ষায় বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, যুদ্ধের ধ্বংসস্ত হতে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, সে দেশে মিথ্যামুক্ত সমাজ গড়া অবশ্যই সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা পরিহারের সংস্কৃতি পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমাজ ও জাতি গঠনে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে মিথ্যামুক্ত সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নেতৃবৃন্দকে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে ধর্মীয় শিক্ষা কেন মিথ্যা পরিহারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ করেছে। কিন্তু একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মানুষ স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজে ভুল ও মিথ্যা কিংবা আংশিক মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে। সমাজে ভয়ভীতি, আতঙ্ক ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে এই গুজব ও মিথ্যার সয়লাব প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে দিন দিন। গুজবের এই ভয়াবহতা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন কঠোর আইন, নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন