রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সংযমের মাসে যশোরে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার

ইফতার বাজার

শাহেদ রহমান, যশোর থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

যশোরে রমজান মাসের শুরুতেই রোজার বাজারে ইফতার সামগ্রীতে যেন আগুন জ্বলছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইফতারের সব সামগ্রীর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা যায় ইফতারের জন্য মানুষের ভিড়। সবাই ব্যস্ত ইফতার কেনাকাটায়। কিন্তু কারো মুখে হাসি ছিল না। এর কারণ, অনিয়ন্ত্রিত বাজার দর। রমজানকে ইস্যু করে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোন কারণ ছাড়াই ইফতার সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় সবাই ক্ষুব্ধ।
ইফতার তৈরির অন্যতম উপাদান বেসন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৯৫ টাকায়, রোজার আগে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ছোলা ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, চিড়া ৫০ থেকে ৮৫ টাকা। খেসারির ডাল ৭৫ টাকা, মুড়ি লুজ (বস্তায়) ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, মুড়ি প্যাকেট ১১০ থেকে ১২০ টাকা। এছাড়া, কলার বাজারে রোজার প্রথম থেকেই রীতিমত আগুন লেগেছে। ভালোমানের সাগর কলা বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা ডজন, রোজার আগে ছিল ৭০ টাকা ছিল। সব কলার দাম নাগালের বাইরে।
এদিকে, ইফতারের অন্যতম সামগ্রী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। শাহী জিলাপি ১২০ টাকা ও রেশমী জিলাপি ২৪০ টাকা কেজি, শসা ৬৫ থেকে ৮৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭৫ টাকা।
ক্রেতা ইয়াদুল ইসলাম বলেন, রোজার আগের দিন বাজারে গিয়েই বিপদে পড়েন। সব জিনিসের মূল্যই আকাশ ছোঁয়া। রোজার আগে যে দামে ছিল এখন আর তা নেই। অথচ এ বিষয়ে অভিযোগ করার কোন স্থান নেই। কষ্টের এ কথা বলবো কোথায়?
যশোরের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, রমজানের শুরু থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ঠিক থাকে এবং সেই সাথে খাদ্যের মানের প্রতি দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
যশোর জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব শাকিল আহম্মেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনে বিক্রেতাদের প্রতি আহ্বান করা হচ্ছে। ইফতারের জন্য কোন প্রকার বাসি খাদ্য বা পোড়া তেল ব্যবহার না করা হয় সে জন্য প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন