শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রমজানে দান সদাকার বিশেষ ফজিলত

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য ও দানশীলতার মাস রমজান। স্বাভাবিকভাবে যে কোন সময় যে কোন দিন দানের দানের অশেষ সওয়াব কুরআন-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। আর ৭০ গুণ সওয়াবের মাস রমজানে এ দান হলে তো কথাই নেই। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘দানশীলতা জান্নাতের একটি বৃক্ষ। যা তাকে জান্নাতে পৌঁছে দেবে’ (মিশকাতুল মাসাবীহ)।

রমজান মাসে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যান্য মাসসমূহের তুলনায় অত্যধিক পরিমাণে দান-সদকা করতেন। আর এই দান-সদকার পরিমাণ এত বেশি ছিল যে, বাতাসের গতিবেগের চেয়েও তা দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হতো। (সহীহুল বুখারী : কিতাবুস সাওম)।
অন্য হাদিসে এসেছে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থীকে দান করতেন। (ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ইমান) হাদিসদ্বয়ে সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত হয় যে, রমজান মাসে অধিক পরিমাণে দান-সদকা করা সুন্নাত। আর এতে অবশ্যই অনন্য ফজিলত রয়েছে।

হাদিসের দর্পণে এসেছে, রমজান মাসে একটি নফল আমল ফরজের মর্যাদায় সিক্ত। এই সূত্র অনুসারে, রমজান মাসে আমাদের প্রতিটি দান-সদকাই ‘ফরজ’ হিসেবে আল্লাহ তা‘আলার নিকট গণ্য। দান-সদকার এমন ঈর্ষণীয় ফজিলত অন্যান্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র রমজানেই এই ‘অফার’ সীমাবদ্ধ।

হাদীসে রমজানকে ‘সমবেদনা ও সহানুভূতি’ প্রকাশের মাস হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে এ পবিত্র মাসে সমাজের অবহেলিত শ্রেণীর গরিব-দুঃখী, অসহায়-নিঃস্ব পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং যথাসাধ্য সহযোগিতা করার জন্যই। কেননা, সহানুভূতির মাস হিসেবে এই নফল আমল আল্লাহ তা‘আলার দরবারে ফরজ হিসেবেই সাব্যস্ত হবে।

ইসলামের মধ্যে উত্তম কাজ কোনটি? রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অন্যকে খাওয়ানো’। রমজানে আমরা প্রতিবেশীদের সাথে সানন্দে সাহারি-ইফতার ‘শেয়ার’ করতে পারি। এতে সওয়াব যেমন হবে তেমনি সকলের মাঝে সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহকে তা‘আলা যেন আমাদের দানের হাতকে শক্তিশালী করেন। আমীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন