রমজান মুসলিম জাতির জন্য বিশেষ এক তাৎপর্যপূর্ণ মাস। রোজা এক মাসের কিন্তু শিক্ষা বারো মাসের। সাধনার বার্তা নিয়ে পবিত্র মাহে রমজানের আগমনে সংযম নেই ময়মনসিংহ ইফতার বাজারে। এখানে বাহারি ইফতারির পসরায় দামেও চলছে বেশ বাড়াবাড়ি। এনিয়ে মাথা-ব্যথা নেই ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, ইফতারের প্রধান উপকরণ ভাজাপোড়া থেকে শুরু করে সব কিছুর দর বেশ চড়া। গত বছরের তুলনায় এবার তা তিনগুণ। ছোলা, মুড়ি, কাবাব, হালিমসহ সব কিছুর দাম সাধ্যের বাহিরে। ফলে বাধ্য হয়ে ক্রেতারা আকাশছোঁয়া দামেই ক্রয় করছে ইফতার।
নগরীর নতুন বাজারস্থ সারিন্দা রেস্টেুরেন্টের ইফতারির পসরায় স্পেশাল আইটেম হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ‘স্পেশাল হালিম’। এর মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। গুড়ের জিলাপি চাহিদা ভালো থাকায় কেজি প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বোম্ভে জিলাপি ও চিনি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।
নগরীর চরপাড়া, পাটগুদাম ব্রীজ মোড়, গাঙ্গিনাপাড়সহ নগরীর সবক’টি এলাকায়। অতিরিক্ত দামে ইফতারি বিক্রি করছে । দাম নিয়ে নেই কোন নিয়ম-নীতির বালাই। ক্রেতারা দামে অসন্তোষ্ট হলেও লজ্জায় কিছুই বলছেনা।
ইফতারি কিনতে আসা খোকন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ইফতারির দাম ব্যাপক। ৫ টাকার জিনিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কিন্তু কিছু বলার নেই। মুনাফা লোভী ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ইফতার ক্রয় করতে আসা ভুক্তভোগীরা। তাদের ভাষ্য, মুনাফা লোভী ব্যবসায়িদের কারণেই বাজারের পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করা জরুরী।
ময়মনসিংহ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফরের সহকারি পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, দামের বিষয়টি নির্ধারক করার সুযোগ আমাদের নেই। তবুও বিষয়টি খতিযে দেখা হবে।
এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান ও শাকিল আহম্মেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন