শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালী বেগমগঞ্জে শিশু তাসফিয়া হত্যাকান্ড, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ৭:৪৩ পিএম

বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তাসফিয়া আক্তার জান্নাত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি এবং বিভিন্ন সংগঠন। এসময় তারা বেগমগঞ্জকে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে আখ্যা দেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চত্বরে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা। কর্মসূচীতে গণ অধিকার পরিষদ বেগমগঞ্জ শাখাসহ কয়েকটি ব্যানারে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার-স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত তাসফিয়ার ফুফু লিমা আক্তার, চাচাত ভাই ইমাম হোসেন, যুব অধিকার পরিষদ জেলা সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন, বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক সিনবাদ শাকিল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যারা শিশু তাসফিয়াকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে তারা সবাই এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী। এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, ইভটিজিং ও সকল ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। হাজীপুরসহ পাশ্ববর্তী প্রতিটি এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ক্ষতের চিহৃ রয়েছে। তাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে এলাকার বেশির ভাগ মানুষ। তাসফিয়ার হত্যাকারিরা সবাই চিহিৃত, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি করেন বক্তারা।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে তুই (আবু জাহের) ওইদিন বৈঠকে ছিলি বলে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পিছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পিছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানীর কোলে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সাথে কোন ভাবেই সংপৃক্ততা ছিলো না মাওলনা আবু জাহের বা তার মেয়ে তাসফিয়ার। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিলো এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয় মাওলানা আবু জাহের, আর সেই টার্গেটের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তাসফিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন