বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমপি পদ হারাবেন হাজী সেলিম

হাইকোর্টের রায় নিম্ন আদালতে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

জ্ঞাত আয় বহির্র্ভূত সম্পদ অর্জন মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর সাজা আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত আদেশ সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। হাইকোর্টে সাজা বহাল থাকার ফলে হাজী সেলিম এমপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপিকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশিত হয়।
গত বছর ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
রায় ঘোষণার পর অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক আইনে (২৬ এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের রায় দেন আদালত।
পরে বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়। একইসঙ্গে যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিতে হবে।
২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দু’টি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।
পরবর্তীতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Md Mostafizur Rahaman ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০৩ এএম says : 0
এই পদ জাবে না ?
Total Reply(0)
HP Sujon ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০৪ এএম says : 0
আর ঐ দিকে বেগম খালেদা জিয়ার তিন কোটি টাকা জন্য জেল হয়, ২৭ কোটি টাকার দূর্নীতির আসামি বাহিরে ঘুরে
Total Reply(0)
Farooqul Islam ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০৪ এএম says : 0
সরকারি দলের সাজা যত হউক কোনও লাভ হবে না। কারন উনারা ক্ষমতায়।
Total Reply(0)
Abu Taher ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০৫ এএম says : 0
দেশে আইন আছে আইনের শাসন নেই তাই এমন দুর্নীতি বাজদের সঠিক বিচার হয়না
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন