জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম জামিনের আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদনও করেছেন ঢাকা-৮ আসনের এই সংসদ সদস্য।
হাজী সেলিমের হয়ে এসব আবেদন করার কথা জানিয়েছেন তার আইনজীবী প্রাণ নাথ।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হাজী সেলিম রোববার (২২ মে) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন তিনি। হাজী সেলিমের আরেক আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুপুর ২টার দিকে হাজী সেলিম আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে যাবেন।
জানা যায়, আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর জামিন বাতিল হলে হাজি সেলিমকে কারাগারে যেতে হবে। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি ডিভিশনের আবেদন করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার স্পেশাল জজ আদালত-৭ এর বিচারক তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। পরে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীকালে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়টি বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানি করা হয়।
শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ। রায়ে হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের কপি আদালত থেকে নামে (রায় প্রকাশিত হয়)। পরে ৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়। আর রায়টি অফিসিয়ালি বিচারিক আদালতে কমিউনিকেট (পাঠানো) হয় ২৫ এপ্রিল। এরই মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল থেকে কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়। তবে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিন সময় পাবেন হাজী সেলিম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন