দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাজা হওয়ায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে সংসদ সদস্য পদ ছাড়তে হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী তার আর সংসদ সদস্য পদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজী সেলিমকে বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এ আদেশ দেয়। আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
তবে দুদক আইনের ২৬ ধারায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দেওয়া সাজা বাতিল করে দিয়েছে আদালত। দুদক আইনের ২৬ ধারায় তাকে ৩ বছর এবং ২৭ ধারায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতির এই মামলায় হাজী সেলিম এখন জামিনে আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন