মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। রোগ নির্ণয়ে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশে ৮টি সরকারি ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়। সেই সার্কুলারে হু স্বীকৃত স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি থেকে পাস করা মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরাই আবেদন করতে পারবে বলে উল্লেখ ছিল। সেক্ষত্রে নিয়ম-নীতি বহির্ভূত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা আবেদনের সুযোগ না পাওয়ার হাইকোর্টে মামলা করে। সেই মামলার কারণে আজ দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সার্কুলার স্থগিত রয়েছে। এতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টবিহীন থাকায় সঠিক রোগ নির্ণয় সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে স্বাস্থ্য বিভাগ চলতে পারে না। দেশের নাগরিক হিসেবে সবার উন্নত স্বাস্থ্য ও সঠিক রোগ নির্ণয় সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একটি সুন্দর-সুষ্ঠু রায়ের ওপর নির্ভর করছে দেশের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের ক্যারিয়ার এবং কোটি কোটি মানুষের নিরাপদ রোগ নির্ণয় সেবা পাওয়া।
আশীষ শীল শ্রাবণ,
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
গৌরীপুর হাসপাতালে অনিয়ম
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় রয়েছে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গৌরীপুর বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু হাসপাতালটি অনিয়মে ভরে গেছে। যা সরকারি হাসপাতাল হিসাবে কোনভাবেই কাম্য নয়। সরকারের নিয়ম উপেক্ষা করে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু হয়েছে। জরুরি বিভাগে মহিলা এমবিবিএস ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে নার্সরাই ডাক্তারের কাজ করে থাকে। টাকা না দিলে রোগীকে রেফার করার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। দালালি করে টাকা আয় করছে জরুরি বিভাগের দু-একজন স্টাফও। গৌরীপুর হাসপাতালের এ অনিয়ম রোধের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিমন, গৌরীপুর বাজার,
দাউদকান্দি, কুমিল্লা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আয়কর প্রসঙ্গে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের টিআইএন নম্বর খোলা, আয়কর রিটার্ন দাখিল করা কষ্টসাধ্য। কেননা তাঁরা শুধু প্রারম্ভিক বেতনের শতভাগ সরকারিভাবে পান। তাঁরা বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ও উৎসব ভাতা পান না। তাঁরা পদোন্নতি, স্বেচ্ছাঅবসর, বদলি সুবিধাসহ অসংখ্য বঞ্চনার শিকার। তারা পাননি বৈশাখী ভাতা ও বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি সুবিধা! পদমর্যাদা অনুযায়ী বাড়িভাড়া পান না। প্রিন্সিপাল থেকে পিওন সবাই পান ১০০০ টাকা। এবং চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা মাত্র যা নিতান্তই অপ্রতুল।
এমপিওভুক্তগণ বেতন না অনুদান পান তা-ই তো অস্পষ্ট, তবু তাদের আয়কর দিতে হবে? যাঁদের বার মাসই ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ তাঁদেরও আয়কর পরিশোধ একজন শিক্ষকের নৈতিক কর্তব্য। তবে তাঁদের বঞ্চনার অবসান না ঘটিয়েই আয়করের বোঝা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ তুল্য! কাজেই এমপিওভুক্তদের আয়কর প্রসঙ্গটি পুনর্বিবেচনা করা জরুরি। যদিও বা দিতে হয় তবে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়াই শ্রেয়। তবে নতুন বেতনস্কেলের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনি¤œ কর সীমা পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণও সময়ের দাবি।
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর-১৭৩০।
এনটিআরসির এ কেমন গাফিলতি?
কিছুদিন আগে এনটিআরসি কর্তৃৃক নিবন্ধনকৃতদের চাকরির জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল। এই রেজিস্ট্রেশন করতে হয়েছিল ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই রেজিস্ট্রেশন সবাইকে বোকা বানিয়েছে। শিক্ষক প্রার্থী হয়ে নিজ উপজেলা ও জেলার প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্য পদের খবর জানবে না এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। একেকটি উপজেলায় শূন্য পদের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫টি হলেও সেখানে দেখানো হয়েছে ২ থেকে ৩টি। অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে শূন্য পদের সংখ্যার তথ্য প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের গাফিলতি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষের গাফিলতি তো রয়েছেই। এজন্য তাদের উপযুক্ত শান্তি হওয়া দরকার। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে এনে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়াপাড়া, চাপানীহাট, ডিমলা, নীলফামারী।
হাটপাঙ্গাসীতে ডাকঘরের নিজস্ব ভবন প্রয়োজন
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলাধীন একটি গ্রাম হাটপাঙ্গাসী। যেহেতু জেলা শহরগুলো ছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসের সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয় না সেক্ষেত্রে ডাকঘরই এখানকার একমাত্র ভরসা। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বইয়ের অর্ডার করতে চাইলে ডাকঘরের মাধ্যমেই তা করতে হয়। এছাড়া এটি প্রশাসনিক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ ও চিঠিপত্র আদান-প্রদানেরও মাধ্যম। দুঃখের বিষয় হলো এই গ্রামে ডাকঘরের নিজস্ব ভবন নেই। ফলে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। যেমন এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ঢাকায় একটি চিঠি পাঠানো খুব জরুরি ছিল। কিন্তু জানতে পারিনি ডাকঘরের লোকজন কোথায় বসে। একজন বলল নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই, অস্থায়ীভাবে বসে। ফলে বাধ্য হয়েই আমাকে জেলা শহরে গিয়ে চিঠিটি পোস্ট করতে হয়েছে। প্রতিনিয়ত আমার মতো অসংখ্য মানুষ এমন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডাকঘরগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। সরকার যদি প্রতিটি গ্রামে ডাকঘরের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করে আধুনিকায়ন করেন তাহলে আবারো ডাকঘর সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাসুমা রুমা
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ নৌপথে লঞ্চ চালু হোক
মুন্সীগঞ্জ ঢাকার সঙ্গে নৌপথে যোগাযোগের দিক থেকৈ পিছিয়ে রয়েছে। সড়কপথে নারায়ণগঞ্জের পাগলাতে জ্যাম, ধুলোবালিসহ মনসম্মত বাস না থাকায় প্রতিদিন লোকজন লঞ্চে করে ঢাকায় আসা-যাওয়া করে। নির্দিষ্ট কিছু ছোট লঞ্চ রয়েছে যা মানসম্মত নয়; এমনকি প্রতিকূল আবহাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া লোকজন ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদীর মাঝখানে গিয়ে ঢাকাগামী দূরপাল্লার লঞ্চে ওঠে, যা দুঃসাহসিক কাজ। যেখানে ঢাকার সঙ্গে চাঁদপুর, বরিশালের অনেক উন্নত লঞ্চ রয়েছে, সেখানে ঢাকার অতি নিকটবর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জের (বিক্রমপুর) সঙ্গে নদীপথে চলাচলের ভালো নৌযান নেই। অথচ নিকটবর্তী জেলার সঙ্গে ভালো যোগাযোগব্যবস্থা থাকলে ঢাকা নগরীর ওপর জনসাধারণের চাপ কমবে। উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার অধিকাংশ লোক মুন্সীগঞ্জ তথা বিক্রমপুরের, যারা ব্যবসায়-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুহাম্মদ রাজীবুর হাসান
শ্রীপল্লী, মুন্সীগঞ্জ।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স
আমাদের দেশের যে শিক্ষাব্যবস্থা তাতে দেখা যায় একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ করতেই ২৮/২৯ বছর সময় লাগে। বাকি এক-দুই বছরে চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আরো দুই বছর সময় পেলে আরো ভালোভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুত করা যাবে। উন্নত দেশগুলোতে এমনকি আমাদের পাশের দেশগুলোতেও সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স আরো বেশি তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি- সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হোক।
তারেকুর রহমান,
ঢাকা কলেজ।
মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসেবা
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সবার বয়স এখন ৬০-এর ওপরে। তাঁদের পক্ষে দিনের পর দিন ডাক্তারের চেম্বারে বসে বা সিরিয়াল দিয়ে ডাক্তার দেখানো সম্ভব নয়। এজন্য তাঁরা যাতে মুক্তিযোদ্ধার কার্ড দেখিয়ে বিনা সিরিয়ালে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ জারি করা প্রয়োজন। করুণা নয়, সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার। সম্প্রতি একজন মুক্তিযোদ্ধা একাধিকবার পরিচয় দিয়েও ডাক্তারের সিরিয়াল পাননি। অথচ সরকারের তরফ থেকে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। মুক্তিযোদ্ধারা হাসপাতালে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধারা বয়সের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েছেন, হাসপাতালে গিয়ে পরিচয়পত্র দেখালে অনেক চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মানের পরিবর্তে অসম্মান করেন। ফ্রি চিকিৎসার কথা বললে নানাভাবে হয়রানিও অপদস্থ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে ভর্তিসহ যে কোনো প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। চিকিৎসা প্রদানে কোনোরকম অবহেলা করা চলবে না।
-আর কে চৌধুরী, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন