শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

পেশাদার বক্সিংয়ের দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন আদনান হারুণ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৪২ পিএম | আপডেট : ৫:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২২

বাংলাদেশের বক্সিং ফেডারেশনের চেয়ার দখল নিয়ে যখন কাঁদা ছোড়াছুড়ি তুঙ্গে, তখনও দেশের বক্সিংয়ের উন্নতি নিয়ে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা। নিজের স্বপ্ন পূরণের সঙ্গে দেশের বক্সিংয়ের উন্নতিতে বদ্ধপরিকর তিনি। একই সাথে দেশের তরুণ সমাজকে খেলাধুলা উদ্বুদ্ধ করে নেশা ও সন্ত্রাস থেকে বিরত রাখা এবং পেশাদার বক্সিংয়ে দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চান ‘এক্সেল স্পোর্টস প্রমোশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট’এর চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন।

বাংলাদেশের বক্সিংয়ের উন্নতি, সম্ভাবনা এবং নিজের স্বপ্ন নিয়ে একান্ত আলাপে তরুণ এই সংগঠক বলেছেন, গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশ এমেচার বক্সিং এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে অনেক সোনালী খেলোয়াড় তৈরী হয়েছে। এসএ গেমসে বক্সিংয়ে আমাদের পদক আছে। কমনওয়েলথ গেমসে ভালো ভালো খেলোয়াড় যাচ্ছে। বাংলাদেশের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন যারা আছে তাদের আরও ভালো ভালো সুযোগ দিলে বক্সিং আরও এগিয়ে যাবে।

বক্সিং নিয়ে আদনান হারুনের ভাবনা ও পরিকল্পনা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো। স্পোর্টস রিপোর্টার শেখ সাদী............


প্রশ্ন: পেশাদার বক্সিং ও আর অপেশাদার বক্সিংর মধ্যে তফাত কি? কেন বাংলাদেশে পেশাদার বক্সিংয়ের উন্নতি হচ্ছে না?
আদনান হারুন: পেশাদার বক্সিং আর অপেশাদার বক্সিং দুই আলাদা বিষয়। অ্যামেচার বা অপেশাদার শেষ করে প্রফেশনাল বা পেশাদার বক্সিং শুরু। যা নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছে আমাদের প্রতিষ্ঠান (এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট ও প্রমোশন)। ইতিমধ্যে জেনসিস ফাইট নাইট’ বক্সিং ও বাংলার মুষ্টিবাজসহ বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি আমরা।

আমাদের দেশের যারা এসএ গেমস খেলেছে, কমনওয়েলথ গেমস ও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে খেলেছে। তাদের কথা চিন্তা করে পেশাদার বক্সাদের উন্নতির জন্যই আমরা কাজ করছি। একজন বক্সার যদি নিজের কৌশলে এগিয়ে যায় তাকে কেন সুযোগ দেয়া হবে না! আমরা সেটা নিয়েই কাজ করে করে যাচ্ছি। প্রফেশনাল বা (পেশাদার) বক্সিং শুরু হয় চার রাউন্ড থেকে। সেখানে অ্যামেচার বক্সিং বা (অপেশাদার) শেষ হয় তিন রাউন্ডে। অ্যামেচার বক্সিংয়ে যেমন বাংলাদেশের মুখ যেমন উজ্জল করেছে। তেমনি পেশাদার বক্সিংয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে নিতেই কাজ করছি। যাতে একজন পেশাদার বক্সার আর্থিক ও সামাজিক মর্যদা পায়।

প্রশ্ন: আপনি বক্সিংয়ের সাথে যুক্ত হলেন কিভাবে। কখন থেকে বক্সিং নিয়ে কাজ শুরু করেছেন?
আদনান হারুন: আমি সরাসরি বক্সিংয়ে এসেছি মুলত দুই বছর আগে। তার আগে গত ৭-৮ বছর ধরে শারীরিক ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি। শারীরিক ফিটনেস নিয়ে কাজ করা আমার প্রতিদিনের রুটিন। সেখান থেকেই বক্সিংয়ে আসা। ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে করতে তরুণ উদিয়মান বক্সার, অ্যামেচার বক্সার আছে তাদের সাথে পরিচয় এরপর নিজে বক্সিং ট্রেনিং শুরু করি। ঐ আগ্রহ থেকেই নিজের মধ্যে বক্সিংয়ের সাথে একটা ভালোলাগা ভালোবাসা হয়ে গেল।

একটা সময় আমার মনে হলো, আমাকে আরও ভালো করতে হবে। তাই ট্রেনার খুঁজতে শুরু করলাম। আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর যারা ট্রেনার আছে। তাদের দুই-তিন জনের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চাইলাম। কিন্তা তারা আমাকে বললো, আমরা প্রফেশনাল ট্রেনিং করাই না। তখন আবার তারা বললো আপনি ট্রেনিং করতে চান আমরা করাই। সেই ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে আমার আগ্রহটা আর বেড়ে যায়।

প্রশ্ন: ব্যক্তিগত ভাবে আপনি সর্বশেষ কোথায় খেলেছেন?
আদনান হারুন: গত বছর ২০২১ সাথে আমি বসুন্ধরায় খেলেছি। সেটি ছিল পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতা। এখনও আমি ট্রেনিং করছি। তরুণদের নিয়ে কাজ করছি। নিজে শিখছি ও তরুণদের নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া এক মাস আগেই থাইল্যান্ডে গিয়ে বক্সিংয়ে বাংলাদেশের পতাকা উচু করে তুলে ধেরেছি।

প্রশ্ন: আপনি এখনও নিয়মিত বক্সিং খেলেন না ট্রেনিং করান?
আদনান হারন: আমি এখনও ট্রেনিং করি এবং যারা ইয়াং বক্সার আছে তাদের ট্রেনারের মাধ্যমে ট্রেনিং করাচ্ছি। যদিও আমি দুই বছর ধরে ফাইটিং করে জিতেছি। তারপরও আমি নিজেকে ভালো ট্রেনার বলবো না। কারণ আমার চেয়ে অনেক বড় বড় সিনিয়র ট্রেইনার আছে। যারা অনেক বছর ধরে বক্সিং নিয়ে কাজ করছে। তারা অবশ্যই আমার থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারাও দেশের বক্সিংয়ের উন্নতির জন্য কাজ করছেন।

প্রশ্ন: বক্সিং নিয়ে আপনার নিজের লক্ষ্য কি। আসলে আপনি বক্সিং নিয়ে কি স্বপ্ন দেখছেন?
আদনান হারুন: আমার প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের পেশাদার বক্সারদের এগিয়ে নেয়া। দেশের বক্সিংয়ের উন্নতি ঘটানো। যারা খেলছে যারা যেন এই বক্সিংকে পেশাদার হিসেবে বেছে নিতে পারে। বক্সিংকেই পেশা হিসেবে নিতে পারে। তারা যেন দেশের বাইরে অ্যামেরিকা-দুবাইসহ বিশ্বের বড় বড় দেশে গিয়ে ফাইটিং করে। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো এটা নিয়ে কাজ করবো।’

প্রশ্ন: বক্সিং নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা বলছেন। বক্সিংয়ের উন্নতি নিয়ে কাজ করার কথা বলছেন। আপনি কি মনে করেন। কেন বক্সিংয়ের আমাদের উন্নতি হচ্ছেনা?
আদনান হারুন: আমাদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। প্রধান সমস্যা হলো, ফেডারেশনের বেশিরভাগ কর্মকতাই প্রফেশনাল বা পেশাদার বক্সিং বোঝেই না। যার বক্সিংয়ে ফেডারেশনের বড় বড় দায়িত্বে আছে তার ঠিক ভাবে কাজ করছে না। তাদের দায়িত্ব বক্সিংয়ের উন্নতির জন্য কাজ করা। তাদের বুঝতে হবে অ্যামেচার বা (অপেশাদার) বক্সিং হলো স্কুল-কলেজের মতো। আর প্রফেশনাল (পেশাদার) বক্সিং হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। আমাদের চিন্তা করতে হবে একটা ছেলে স্কুল-কলেজ পাশ করে কি করবে! সে তো বসে থাকবে না। সে তো অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে। এটাই হলো পেশাদার বক্সিং। এখানে বোঝার একটা বড় ভুল আছে। এছাড়া ফেডারেশন শুধু বক্সিংয়ের কৌশল শিখাচ্ছে কিন্তু বক্সিংয়ের জন্য ফিটনেস খুবই গুরুত্বপূর্ন সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেনা। আমরা পেশাদারের পাশাপাশি ফিটনেস নিয়েও কাজ করছি।

প্রশ্ন: অ্যামেচার (অপেশাদার) বক্সিং থেকে কেন প্রফেশনাল পেশাদার বক্সিংয়ে যাচ্ছে না। কি মনে করেন?
আদনান হারুন: এখন পর্যন্ত আমাদের বক্সিং ফেডারেশন পেশাদার বক্সারদের কোন আয়োজন করতে পারেনি। আমি নিজের চেষ্টায় কাজ করছি। নিজের টাকা খরচ করে দেশের বক্সিংয়ের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: আপনি কি বক্সিংয়ে ফেডারেশনের সাথে জড়িত আছেন?
আদনান হারুন: আমি বক্সিং বাংলাদেশ ফেডারেশনের বরিশাল বিভাগের কাউন্সিলার বা (সদস্য)। এই সদস্য হওয়ার জন্য আমাকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। ফেডারেশনের অনেকে প্রথম থেকেই চেয়েছে আমি যেন সদস্য না হতে পারি। তারপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে এর সদস্য হয়েছি।

প্রশ্ন: বর্তমানে বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা চলছে। নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। এসব নিয়ে কি বলবেন?
আদনান হারুণ: নির্বাচন নিয়ে এমনটা হতেই পারে। ফেডারেশনগুলোর মধ্যে পক্ষ-প্রতিপক্ষ থাকেই। এখানে ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে কিছু রাজনৈতিক ঝামেলা থাকেই। সব ফেডারেশনেই এমনটা হয়। সবাই নেতৃত্বের চেয়ারে বসতে চায়। ফলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক।’

প্রশ্ন: বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনে আপনি কাদের সমর্থন করছেন?
আদনান হারুণ: আমি মুলত বরিশালের কাউন্সিলর। অনেক কষ্ট করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে কাউন্সিলর হয়েছি। অনেকেই আমাকে আসতে দিতে চায়নি। তারপরও দুই কমিটিকেই আমি সম্মান করি। দুই কমিটিই কাজ করেছে। বর্তমান কমিটি করোনার কারণে খুব বেশি কাজ করতে পারেনি। তারপরও আমি সবাইকে সম্মান করি।

প্রশ্ন: আমাদের দেশে ফুটবল-ক্রিকেট যেভাবে স্কুল পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। বক্সিং সেভাবে হচ্ছে না কেন? আপনি কি মনে করেন?
আদনান হারুণ: এখানে আমাদের ফেডারেশনগুলোর দুর্বলতা আছে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতে অনেক পর্যায়ে বক্সিং অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলে যেমন আমাদের মার্শাল আর্ট আছে কিন্তু বক্সিং নেই। এ বিষয়ে আমি আমাদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী কাছে আহবান করতে চাই। তিনি যেন এই বক্সিংকে স্কুল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য সহযোগিতা করেন।’

প্রশ্ন: স্কুল-কলেজে বক্সিং খেলে আমাদের দেশে কোন সুযোগ সুবিধা পাবে?
আদনান হারুন: স্কুল-কলেজে বক্সিং চালু হলে অনেক সুবিধা পাবে। যেমন আনসার, সেনাবাহিনী, পুলিশ,নৌবাহিনী এমনকি বিকেএসপিতেও চান্স পাওয়ার সুযোগ আছে।’ আমি বলতে চাই এই বক্সিং খেলার মাধ্যমে চাকরির সুযোগ হতে পারে। যদি স্কুল পর্যায়ে বক্সিং অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে এর মধ্যামে বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি পাবেন। চাইলে এখান থেকে আস্তে আস্তে পেশাদার বক্সার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবে। আমার বিশ্বাস স্কুল-কলেজে বক্সিং শুরু হলে দেশের বক্সিংয়ের বড় পরিবর্তন আসবে।’

প্রশ্ন: সাউথ এশিয়ার যে টুর্নামেন্টের কথা বললেন সেটা কবে শুরু হচ্ছে এবং কারা এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে?
আদনান হারুন: বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালকে নিয়ে এই সাউর্থ এশিয়ানস গেমস অনুষ্ঠিত হবে যাচ্ছে। আগামী ১৯ মে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এটি একদিনের টুর্নামেন্ট ৮ রাউন্ডের খেলা হবে। এখানে বাংলাদেশের সেরা তিন পেশাদার বক্সার এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। একই সাথে বেশি কিছু তরুণ বক্সারের অভিষেক হবে এই টুর্নামেন্টে।

প্রশ্ন: এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ থেকে কতজন ও বিদেশী কতজন বক্সার অংশ নেবে?
আদনান হারুন: বাংলাদেশকে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন ৩ জন অংশ নেবে। নেপালের সাথে হবে মুল আকর্ষন। ভারতের সাথেও খেলবে। বাংলাদেশের হীরা মিয়া (ঢাকা) ও আমিনুল (বরিশাল)। নেপালের মাহিন্দ্রসিং ঠাকুরের সাথে টপ ফাইটিং হবে বাংলাদেশ আর এক ফাইটারের সাথে। এছাড়া বাংলাদেশের কিছু তরুণ বক্সারের এখানে অভিষেক হবে। যাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন: এই টুর্নামেন্টের আয়োজক কারা?
আদনান হারুন: এক্সেল স্পোর্টস প্রমোশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট আয়োজক। আসলে পেশাদার ফাইটিংয়ের সাথে চ্যালেঞ্জ করে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি। যারা পেশাদার বক্সার তাদের একটা র‌্যাকিং থাকে। তখন বক্সাররা আর একজন বক্সারকে চ্যালেঞ্জ করে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ দিয়েই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি।

আসলে বিষয়টা হলো, একজন পেশাদার বক্সার আর একজনকে তার সাথে ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জ জানাবে। তখন সে বলে ওকে ফাইটিং তোমার সাথে করবো। তারা তখন আলোচনা করে যে কোন একটি দেশ নির্ধারণ করে। অ্যামেচার একটা দেশের সরকারী বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বরাদ্দ পেয়ে থাকে। কিন্তু পেশাদাররা আন্তর্জাতিক র্যাকিংয়ের উপর প্রাইজমানী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

অ্যামেচাররা যেমন আনসার ও আর্মিতে চারকরী করে। বিভিন্ন জব করে। তারা চাকরী করে বক্সিং খেলে খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারেনা। তবে এ বিষয়ে বুঝতে অনেক সময় লাগবে। কারণ ভারতের মতো দেশে পেশাদার বক্সিং চালু হয়ে চার-পাঁচ বছর আগে। আমাদের বুঝতে আরও সময় লাগবে।’

প্রশ্ন: মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী বিষয়ে যদি কিছু বলেন?
আদনান হারুন: মুহাম্মদ আলী একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন। সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে বলা হয়। সে অনেক আগে গোল্ড মেডেল পেয়েছে। সে অ্যামেচার থেকে প্রফেশনালে গেছে। আমরাও সেটাই বাংলাদেশের করতে চাচ্ছি। বিশ্বের অনেক অনেক অপেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা থেকে পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা হয়েছেন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ বক্সিংয়ে অলেম্পিকে খেলার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
আদনান হারুন: ফেডারেশনগুলোর দায়িত্ব জাতীয় ভাবে বিভিন্ন ইভেন্টে আয়োজন করা। তাদের ভালো করে প্রশিক্ষন দিয়ে সর্বোচ্চ আসর অলেম্পিকে অংশ নেয়া। আমাদের দেশে এখনও অলিম্পিকে খেলার মতো বক্সার তৈরী হয়নি। তবে আশা করছি অবশ্যই আগামীতে অলেম্পিকে খেলার মতো বক্সার বা মুষ্টিযোদ্ধা তৈরি হবে।

অনেকেই আছে দেশের উন্নতির জন্য বক্সিং নিয়ে কাজ করছে। তারা ফেডারেশনের রাজনীতি দেখেনা। দেশের নিবেদিত প্রাণ তারা। দেশের জন্য টেনিং করিয়ে যাচ্ছে। যারা এভাবে কাজ করছে সরকার যেন তাদের রাষ্ট্রিয়ভাবে সম্মান দেয়। এক্সেল স্পোর্টস প্রমোশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট’ ইতিমধ্যে চারটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে নিজেদের টাকায়। এবার যারা এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে সবার জন্যই ২০হাজার টাকা করে প্রাইজমানী থাকবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Rana ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৩৯ এএম says : 0
পেশাদার বক্সিং অনেক ভালো কিছু হোক,তরুণ দের কে বক্সিং খেলার সুযোগ করে দেক, এবং জেলায় জেলায় বক্সিং ছড়িয়ে দেওয়া হোক।
Total Reply(0)
Rana ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৩৯ এএম says : 0
পেশাদার বক্সিং অনেক ভালো কিছু হোক,তরুণ দের কে বক্সিং খেলার সুযোগ করে দেক, এবং জেলায় জেলায় বক্সিং ছড়িয়ে দেওয়া হোক।
Total Reply(0)
MD.Sahria Mahamud Shourov ১৪ মে, ২০২২, ১০:০২ পিএম says : 0
আমি ২০২২ সালে এসএসসি পরিক্ষা দিব। আমার বাড়ি ময়মনসিংহ।আমি ছোট থেকেই একটি সপ্ন দেখি আমি নেশনাল boxing চেমপিয়ান হব।আমার জিবনের লক্ষ boxer হব। But আমার মা বাবা কেউ এইটা চায়না।আমি boxing কে আনেক ভালোবাসি।আমি চায় বাংলাদেশে boxing নামক খেলাটি আরও এগিয়ে যাক।I love boxing...❤❤❤
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন