শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০০ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

দারিদ্র্য নিরসন, বৈষম্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মনিটরি ফান্ডের (ব্যাংক-ফান্ড) বসন্তকালীন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এই ঋণ চাওয়া হয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য সংস্থাটির ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএডিএ) থেকে এ ঋণ চাওয়া হয়।
১৭ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলা সপ্তাহব্যাপী এ বৈঠকে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন প্রমুখ। ইআরডি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ যে পরিমাণ ঋণ চেয়েছে তার পুরোটা না হলেও প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ পাওয়া যাবে বলে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে যে ঋণ পায় আগামী তিন বছরের ঋণ তার চেয়ে কম হবে না বলেও আশ্বাস পাওয়া গেছে।
আইডিএ’র চলমান প্যাকেজে তিন বছর মেয়াদি তহবিল থেকে বাংলাদেশ চারশ’ কোটি বা চার বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ পেয়েছে। সে হিসাবে আগামী তিন বছরে (২০২২-২৫) চারশ’ কোটি ডলারের বেশি ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আগামী তিন বছরের জন্য আইডিএ’র প্যাকেজে ৯৩ বিলিয়ন ডলার তহবিল রয়েছে। দারিদ্র্য নিরসন, বৈষম্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ তহবিল থেকে ঋণ দেয়া হয়। চলমান প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৪টি দেশকে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সভায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ উপলক্ষে ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষত, করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও আর্থিক প্রণোদনা বাস্তবায়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আইএফসি, এমআইজিএ এবং আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। সভাগুলোতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, রাজস্ব খাতে আর্থিক ঝুঁকি কমাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, সামগ্রিক বৈশ্বিক অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন সুবিধাসহ কারিগরি সহায়তা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা চেয়েছে।
আগামীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংক ও সংস্থার সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রতিনিধি দল কানাডিয়ান পেনশন ফান্ড, বিল-মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায়ও অংশ নেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন