সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলাধীন তালম ইউনিয়নের গ্রাম-গোন্তা, পাড়িল, লাউতা, দেওঘর, পাড়িল বড়াইচড়া, তারাটিয়া, হারিসোনা। এ এলাকাটি অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে অনেকে চাকরি করছেন, তাদের পরিবার এই গ্রামগুলোতে বসবাস করে। তাছাড়া এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় প্রতিদিন অনেক শস্যপণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। ফলে এলাকাটি দিনে দিনে জনবহুল হচ্ছে। এখানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক এবং তাদের বেশিরভাগই পেশাগত প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা নেটওয়ার্কের সমস্যায় বর্তমানে অত্যন্ত সংকটের মধ্যে আছেন। বিশেষ করে যাদের মাটির বাড়ি। তাদের তো বাড়ির বাইরে এসে কথা বলতে হয়, তাও আবার মাঝে মাঝে কলড্রপ হয়। পুরো ইউনিয়নে মাত্র একটি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। এলাকাটি প্রায়ই নেটওয়ার্কশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এ কারণে এখানকার লোকজন ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছেন। তাই মোবাইল সেরা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ- অবিলম্বে প্রত্যেক কোম্পানীর একটি করে টাওয়ার গোন্তাবাজারে স্থাপন করা হোক।
হাদিউল হৃদয়, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
ফরম পূরণ বাণিজ্য
যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। আর তাই আমরা শিক্ষা চাই। শিক্ষা এখন বাণিজ্যের রূপ নিয়েছে। এ বাণিজ্য শুধু শহরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলে এমনটা ভাবলে সত্যিই অনেক বড় ভুল হবে। গ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোরও কম যায় না।
সারা দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এখন চলছে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ। ফরম পূরণের আগে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হয়। নির্বাচনী পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়, তাদের নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমতি দেয় ফরম পূরণের । রহস্য শুরু এখান থেকেই । যারা পাস করে তাদের ফরম পূরণ করতে গুণতে হয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধার্যকৃত নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা। আর কর্তৃপক্ষ এই অঙ্কটা নিজের ইচ্ছামতো ধার্য করে। শিক্ষার্থীদের সেটা দিতে হয়। অভিযোগ করার জায়গা নেই, কোথায় জানাবে তারা অভিযোগ? কিন্তু নির্বাচনী পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়নি, তাদের নির্দিষ্ট ফির তিন চার গুণ বেশি টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয়। কারণ, কোনো অভিভাবকই চান না টাকার জন্য তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাক। অভিভাবদের আরও একটি অভিযোগ হলো, টাকার জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে ইচ্ছে করেই ফেল করিয়ে দেন শিক্ষকেরা। দেখা যায়, যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফাইনাল পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ পাস করে শিক্ষার্থীরা, একই প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ। এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমরা কী করব।
মো. শরীফ, কুমিল্লা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন