গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন, আমার পিতা একুশে পদক প্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষা সৈনিক এম শামসুল হক আমৃত্যু ফুলপুর ও তারাকান্দাবাসীর সেবা করে গেছেন। জনগণ ও আওয়ামীলীগের প্রতি ছিল তার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। স্বাধীনতার পক্ষের সকলকে নিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। তাই তিনি বার বার সংসদ সদস্য হয়ে এই আসন জনসেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছেন। আমিও পিতার মত জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জনগনের সেবা করে যেতে চাই। শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে ফুলপুর-তারাকান্দার সিংহ পুরুষ পাঁচ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, একুশে পদক প্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষা সৈনিক এম শামছুল হক এর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত কোরআন খতম, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মরহুমের পুত্র গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি এসব কথা বলেন।
ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এড.মিজানুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, পৌর মেয়র শশধর সেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রামাউসের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার, বদিউল আলম রতন, বিজয় চন্দ্র সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম মনিরুল হাসান টিটু, কৃষকলীগের ডাঃ জালাল উদ্দিন, আজিজুল ইসলাম, ঊপজেলা জাতীয় শ্রমীকলীগের এটিএম রফিকুল করিম নোমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বাদশা আলমগীর, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, মহিলা আওয়ামীলীগের শিখা রাণী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার স্বপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তানজিল আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাসিবুল হাসান মিলন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ফুলপুর শাখার সাধারন সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তারাকী বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ সুলতান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, আলাউদ্দিন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, একরাম হোসেন চৌধুরী পান্না, শাহাআলীসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মুনাজাত পরিচালনা করেন কাজিয়াকান্দা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নুল আবেদীন।
এম শামছুল হক ১৯৩০ সালের ২৯ জানুয়ারি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সমিরুদ্দীন আহম্মেদ ছিলেন একজন নামকরা আইনজীবী। তৃণমূল থেকে উঠে আসা জনপ্রিয় এ নেতার স্থানীয় জনগণের প্রতি ছিল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। অবিসংবাদিত এ নেতা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সব আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ সারির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সাধারণ মানুষকে অতি সহজেই আপন করে নেয়ার এক মোহনী ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে সংসদ সদস্য এবং ১৯৮৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ ও ময়মনসিংহ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেন । তিনি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সংগঠকের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন