শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

পপ সম্রাট আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২২, ৯:৫১ এএম

পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। সঙ্গীত অঙ্গনে তিনি আজম খান নামেই পরিচিত। বাংলাদেশে পপগানের সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। তাইতো দেশের সবাই একবাক্যে তাকে এ দেশের পপসংগীতের ‘গুরু’ হিসেবে বরণ করে নিয়েছেন। বাংলার পপ সঙ্গীতের কিংবদন্তী এই শিল্পী ২০১১ সালের ৫ জুন সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আজম খান পপশিল্পী হিসেবেই নন, স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম একজন বীরযোদ্ধাও ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে লাকী আখন্দ ও হ্যাপি আখন্দ দুই ভাইকে নিয়ে ‘উচ্চারণ’ নামের একটি গানের দল গড়েন। এর মধ্য দিয়েই পপসংগীতে আজম খানের যাত্রা শুরু। সে বছরই বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে নারে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’- এই গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’- এ গানগুলো গেয়ে শ্রোতাদের তিনি মাতিয়ে তোলেন।

রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় কবি জসীমউদ্‌দীন রোডে, মতিঝিলের ব্যাংক কলোনি মাঠে কিংবা স্টেডিয়ামের সুইমিংপুলে যারা আজম খানকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন, বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ব্যক্তিজীবনে শিল্পী আজম খান কতটা সহজ-সরল ছিলেন। তিনি ছিলেন খোলা মনের মানুষ।

১৯৫০ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে জন্ম হয় আজম খানের। ১৯৮১ সালে ১৪ জানুয়ারি ৩১ বছর বয়সী আজম খানের সঙ্গে বিয়ে হয় সাহেদা বেগমের। আজম খান দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি ক্যানসারের সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় লড়েছিলেন। সে যুদ্ধে পরাজয় মেনে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন-স্বাধীন দেশ ও মানচিত্র আর অন্যটি বাংলা রক গান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন