চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া কেমিক্যাল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা জেগেছে।
এ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম। রোববার চট্রগ্রাম সেনাবাহিনীর ব্যাটালিয়ন ১-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক পদার্থ লাগা আগুনে কেমিক্যাল যাতে ড্রেনের মাধ্যমে সমুদ্রে না ছড়াতে পারে, সে জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম ড্রেনেজব্যবস্থা বন্ধ করতে যাচ্ছে। ড্রেনেজব্যবস্থা থাকলে কেমিক্যাল সমুদ্রে ছড়াতে পারে। এতে সমুদ্রের পানি এবং মৎস্য ও জলজ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে আমাদের এ উদ্যোগ।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত পানি যেন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, অন্তত ২৭টি কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনার ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি কনটেইনার বিস্ফোরণ হয়। বাকি কনটেইনারগুলো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন আটজন। আগুনে আহত আরও চার শতাধিক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন লাগার ১৮ ঘণ্টা পরও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা।
ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা বলছেন, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দাহ্য কেমিক্যাল পুড়ছে। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কোন কনটেইনারে কি আছে সে তথ্যও জানা নেই ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। নিরাপদ দূরত্বে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনীর মোট ২৫টি ইউনিটের কর্মীরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন