বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন সবুজের লাশ ফেনীতে দাফন

সীতাকুন্ড ট্র্যাজিডি

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ৭:৪৮ পিএম

গতকাল সোমবার দুপুরে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার পর ফেনীর ছেলে ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন সবুজের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের অফিসের সামনে সবুজের প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার লাশ ফেনীর মাছিমপুর গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পর সেখানে রাত ১০টায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়। জানা যায়,সালাউদ্দিন সবুজ চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে মুঠোফোনটা ব্যারাকে রেখেই আগুন নেভাতে চলে যান। ফলে পরিবারের লোকজন টেলিভিশনসহ নানাভাবে গত শনিবার রাত থেকে ওই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের খবর পেলেও তার খবর জানতে পারেনি। বারবার ফোন করা হলেও ফোনটা ধরার জন্য ব্যারাকে কেউ তখন ছিল না। গত রবিবার সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী ফোন তুলে ওই প্রান্ত থেকে জানায় সবুজ আগুন নেভাতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। অবশেষে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ফায়ারম্যান সালাউদ্দিন সবুজের লাশ শনাক্ত হয়েছে। এ খবর জানালেন সালাউদ্দিনের সবুজের চাচাতো ভাই শেখ মো. সানা উল্লাহ নূরী। তিনি জানান, গত সোমবার দুপুরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। এর আগে শনিবার রাত থেকে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিল। লাশ পাওয়ার খবরে তার পরিবারও পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সালাউদ্দিন সবুজ ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের হাজী অছিম উদ্দিন ভূইয়া বাড়ির বাসিন্দা। সে চট্রগ্রাম সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের একজন ফায়ার ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার পিতা মোহাম্মদ ইউছুফ একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে সবুজ ছিলেন ৬ষ্ঠ। ভাইদের মধ্যে সবুজ সবার ছোট। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সালাউদ্দিন সবুজ ১০ বছর আগে ফায়ারম্যান হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন। তার এক বড় ভাই ও দুই ভগ্নিপতিও ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী করেন। ৬ বছর আগে সবুজ বিয়ে করেন। তার সাড়ে ৪ বছরের এক মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী ছেলে মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকে। গত সপ্তাহে সবুজ শেষবারের মতো গ্রামের বাড়ীতে যান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন