শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

জিকো বীরত্বে ছোট হারের স্বস্তি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনের বিপক্ষে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর বীরত্বে ছোট হারের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৪৩ বছর আগে যা ঘটেছিল এবারও তাই ঘটলো। ১৯৭৯ সালে সর্বশেষ মুখোমুখিতে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাহরাইন। এবারও একই ব্যবধানের জয় মধ্যপ্রাচ্যের দলটির। গতকাল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালাপুরের বুকিত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের উদ্বোধনী দিনে বাহরাইন ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। বিজয়ী দল ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোল দু’টি আদায় করে নেয়।
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাহরাইনের অবস্থান ৮৯তম স্থানে। আর বাংলাদেশের ১৮৮। ধারে-ভারে লাল-সবুজদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও এ ম্যাচে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি শক্তিশালী বাহরাইনকে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে না দেয়া। নিজেদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে পুরো ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডারদের লড়াকু মেজাজে খেলতে দেখা গেছে। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের একের পর এক আক্রমণ দৃঢ়তার সঙ্গেই ফিরিয়ে দিয়েছেন টুটুল হোসেন বাদশা-বিশ্বনাথ ঘোষ-ইয়াসিন আরাফাতরা। ফলে ব্যবধান বড় হয়নি। এজন্য অবশ্য গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকেও বাহবা দিতে হয়। তার নজরকাড়া খেলা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
মালয়েশিয়ার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে ইন্দোনেশিয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে একমাত্র ফিফা প্রীতি ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেনের অভিষেক ঘটেছিল। কাল বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে ঘিরেই একাদশ নির্ধারণ করেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ম্যাচ ৪-১-৪-১ ছকে খেলেছেন জামাল ভূইয়ারা। গোলপোস্টের নিচে যথারীতি ছিলেন জিকো। লেফট ব্যাকে ইয়াসিন আরাফাত ও রাইট ব্যাকে রিমন হোসেন। আর মাঝে বাংলাদেশ রক্ষণের দুই স্তম্ভ টুটুল হোসেন বাদশা ও বিশ্বনাথ ঘোষতো ছিলেনই। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন আতিকুর রহমান ফাহাদ। দুই মিডফিল্ডার অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও বিপলু আহমেদের পাশাপাশি উইংয়ে ছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও রাকিব হোসেন। আর ‘নাম্বার নাইন’ হিসেবে ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দময় ফুটবল উপহার দিয়ে বাহরাইন একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে। তবে বিশ্বনাথরা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো দৃঢ়তার সঙ্গেই প্রতিহত করেন। কিন্তু পরের মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় বাহরাইন। হাসান আলআসওয়াদের কর্নার থেকে আলী আবদুল্লাহ হারাম হেডে গোল করেন (১-০)। ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকার চেষ্টা করলেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি। আট মিনিট পর বাহরাইন ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ৪২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণের বল জামাল বা রাকিব কেউই ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে থাকা হাসান আলআসওয়াদের পায়ে। এই মিডফিল্ডার গড়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দিলে ব্যবধান বাড়ায় বাহরাইন (২-০)। জিকো ঝাঁপিয়ে পড়েও প্রতিহত করতে পারেননি। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে বাংলাদেশ। আর বাহরাইন চেষ্টা চালায় ব্যবধান বড় করতে। কিন্তু বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো অসাধারণ দক্ষতায় বাহরাইনের সব প্রচেষ্টা নস্যাত করে দেন। ফলে আর কোন গোল পায়নি মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। আগামী শনিবার গ্রæপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন