কিছুদিন আগেই খবর আসে সিধু মুসেওয়লার পর গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে রয়েছেন ভাইজান। যার কারণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সালমান খানের নিরাপত্তা। রোববার বান্দ্রায় বাসস্ট্যান্ডে পাওয়া একটি চিঠিতে লেখা ছিল, ‘মুসে ওয়ালার মতো করে দেব।’ সেই চিঠি পেয়েছিলেন সালমানের নিরাপত্তারক্ষীরা। এবার আর হুমকি নয় দিনের বেলায় সালমানের বাড়ির বাইরে শার্প শুট্যার পাঠাল লরেন্স বিষ্ণোই। তারপর নিরাপত্তার চাদের মুরে ফেলা হয়েছে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট। সূত্রের খবর অল্পের জন্য নাকি রক্ষা পেয়েছেন সালমান।
এ যেন কোনো সিনেমার চিত্রানাট্য এত নিরাপত্তা সত্ত্বেও ভাইজানের বাড়ির বাইরে পাঠানো হয় এক শার্প শ্যুটারকে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় যখন ভাইজান সাইকেল রাইডে বেরন সেইসময় তিনি থাকেন তার নিরাপত্তারক্ষীদের ছাড়া। যার ফলে ওই সময়টাই বেছে নেন ওই শার্প শ্যুটাররা। তবে লরেন্স মতলব ছিল অন্য তারা সকালের সময়টা বেছে নেন ওই দিন সালমানের একটি পাবলিক অনুষ্ঠানের যাওয়ার কথা ছিল। বাড়ির গেটের বাইরে মোতায়েন ছিল মুম্বই পুলিশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এত পুলিশ দেখে শ্যুটরার তাঁদের সেই দিনের প্ল্যান স্থগিত রাখেন। বরাত জোর বেঁচে যান সালমান।
প্রসঙ্গত, ২৮ বছরের তরুণ গায়ক সিধু মোসে ওয়ালা-র সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা-ই সালমান খান ও সেলিম খানের সঙ্গে ঘটবে বলে হুমকি চিঠি এসেছিল বলে খবর চাউর হয়ে যায়। সালমান খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মহাকাল নামের এক ব্যক্তি। দিল্লি পুলিশের এক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, বলিউড সুপারস্টার সালমান খান এবং তার বাবা সেলিম খানকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমে সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, দিল্লি এবং মুম্বই পুলিশ যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল। সূত্রের খবর, ধৃত মহাকাল নামের ব্যক্তি সালমানকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ব্যাপার নিয়ে অনেক কিছু জানিয়েছেন। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর যোগসাজশ রয়েছে। এদিনই মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি টিম গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই -কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লি পৌঁছেছে। সেলিম খান এবং সালমান খানকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় তার ভূমিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে লরেন্স বিষ্ণোই জেল থেকে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন! লরেন্স বিষ্ণোই বিতর্ক সালমান খানের কৃষ্ণসার হরিণ মামলার সঙ্গে যুক্ত। লরেন্স বিষ্ণোই নাকি ওই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সেই কারণেই সালমান খানের ওপর বেজায় চটে যান এই সুপারি কিলার। লরেন্স নাকি রেডিও ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সালমান খানকে মারার ছকও কষেছিলেন। কিন্তু, সেই সময় লরেন্স নাকি তার মনপসন্দ অস্ত্র খুঁজে পাননি সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান ভাইজান। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন