রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় তিনি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, রাশিয়ান ফেডারেশনের অনারারী কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. মুনাল মাহবুব, মেরিন ফিশারিজ একাডেমীর প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াসিম মাকসুদ, এপেক্স ফুডের পরিচালক মমিনউদ্দিন আহমেদ খান, এয়ার এরাবিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানেজার ইকরামুল কবির রিয়াজ বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি বলেন, ২০১০ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুনমাত্রা পেয়েছে। যার ফলে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাস কূপ খনন ইত্যাদি খাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা খাতেও সহযোগিতা অব্যাহত আছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়া বাংলাদেশের কাছে এলএনজি ও ক্রুড অয়েল সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে। সার, গম ইত্যাদি পণ্য রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে রফতানি করা হয়। ২০২১ সালে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের রফতানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ থেকে আরএমজির পাশাপাশি হিমায়িত মৎস্য ও অন্যান্য পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে।
এক্ষেত্রে লজিস্টিকস, ব্যাংকিং চ্যানেল ইত্যাদি সমস্যা বিদ্যমান যা উভয়দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। তিনি আগামীতে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের আরো উন্নয়ন প্রত্যাশা করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম খাদ্যপণ্য, গম ও সার সরবরাহকারী দেশ। তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে উভয়দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি এ অবস্থার উন্নয়নে ব্যবসা সহজীকরণ ও বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন