সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

সমুদ্র অর্থনীতির সুফল আহরণে প্রয়োজন দ্রুত উদ্যোগ

চিটাগাং চেম্বারে ওয়েবিনার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চিটাগাং চেম্বার এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) যৌথ উদ্যোগে ‘ব্লু ইকোনমি: রিয়েলাইজিং দ্যা প্রটেনশিয়াল অব মেরিন ফিশিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনার গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তাগণ বলেছেন, অর্জিত সমুদ্রসীমায় বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। সমুদ্র অর্থনীতির এ সুফল আহরণে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। আর এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বাংলাদেশ মেরিন ফিশার্স এসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস অ্যাডমিরাল (অবঃ) জহির উদ্দিন আহমেদ, টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী এতে বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের অর্জিত সমুদ্রসীমায় মৎস্য, গ্যাস, তেল, খনিজসহ অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ যথাযথভাবে আহরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ এবং বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। তিনি সমুদ্র অর্থনীতির সুফল আহরণে সকল পক্ষের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সমুদ্রসীমার প্রায় ৭১০ কি.মি. আয়তন বিশিষ্ট দীর্ঘ উপকূল এবং এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কি.মি. সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে বিরাজমান ব্লু ইকোনমিতে বাংলাদেশের বৃহৎ সম্ভাবনা রয়েছে যা সরকারিভাবে রূপকল্প ২০৪১ এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ব্লু ইকোনমিতে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ, বন্দর ও অন্যান্য লজিস্টিক সুবিধা সম্প্রসারণ, জাহাজ নির্মাণ, রিসাইক্লিং, পর্যটন ও মেরিন এনার্জি অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সম্ভব হবে।
ভাইস অ্যাডমিরাল (অবঃ) জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে সারাবছর গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা আবশ্যক কেননা, এক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। সরকারি উদ্যোগে এই কার্যক্রম পরিচালিত হলে বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, গভীর সমুদ্রে টোনা মাছ আহরণের জন্য তিনটি জাহাজ তৈরীর কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে যা সম্পন্ন হতে ৭-৮ মাস সময় লাগবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন