বন্যায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জনাব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে দ্বিতীয় ধাপে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর, বিশ্বম্ভপুর এবং তাহিরপুরে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকছে। ইতোমধ্যে শহরের নবীনগর, পশ্চিম তেঘরিয়া, উত্তর আরপিন নগর, মরাটিলা এলাকার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। জেলার সর্বত্র বন্যার ভয়ালগ্রাসে মানুষের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। উজানে বৃষ্টিপাত যদি কমে, তবে এ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
এদিকে সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ১৫ জুন থেকে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত সুনামগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। ১৮ জুনের পরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন