বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জিইসি মোড় থেকে পিকআপযোগে একখানে যাচ্ছিলাম। হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল পেরিয়ে ঝাউতলা রেলগেট এসেই দেখি, বাম দিক থেকে ট্রেন ধেয়ে আসছে এবং রেলগেটে পিলার ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না করায় আমাদের গাড়ির ড্রাইভার দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়Ñ পেরুবে কি পেরুবে না। এক পর্যায়ে টানই দেয়। আমাদের এক সহযাত্রী ব্যাপারটা খেয়াল করেন এবং ধমক দিয়ে ড্রাইভারকে থামিয়ে দেন। আমরা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গেট অতিক্রম করতে থাকে বিশাল লম্বা ট্রেনটি। আমাদের সহযাত্রী ভদ্রলোক যদি ধমক দিয়ে ড্রাইভারকে না থামাতেন, ততোক্ষণে ড্রাইভারসহ পনেরজন মানুষ নিমিষেই পরপারের অধিবাসী হয়ে যেতাম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলগেটে গেটম্যানের অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে মারাত্মক সব মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটতে থাকলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আলোচনা-সমালোচনায় মুখর থাকতে দেখলে এ রকম অন্য অনেক ঘটনার মতো এসবের নিস্ফল পরিসমাপ্তি ঘটে! ঝাউতলার ঘটনাটির জন্য এটা ছাড়াও দায়ী রেল কর্তৃপক্ষের অমার্জনীয় উদাসীনতা। জিইসি মোড় থেকে একেখান সড়কে ঝাউতলা ছাড়াও ইস্পহানি রেলগেট ক্রস করতে হয় প্রতিদিন প্রায় লাখ খানেক গাড়িকে। কারো কোনোরকম উদাসীনতার বলি যেন কাউকে হতে না হয়, এজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সজাগ এবং তৎপর হতেই হবে।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্্
বারইয়ারহাট, মীরসরাই, চট্টগ্রাম ৪৩২৬।
বৈশাখী ভাতা
সম্প্রতি গেজেট আকারে প্রকাশিত নতুন বেতন স্কেল প্রবর্তন হয়েছে। এতে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। নতুন বেতন কাঠামোয় বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষক, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন।
এ বছর থেকে সব সম্প্রদায়ের মানুষ একই সঙ্গে ও একই সময় এই ভাতা পাবেন। বাংলা নববর্ষের শুভলগ্নে এই ভাতা প্রদান প্রশংসার দাবি রাখে। ইংরেজি নববের্ষর কয়েক মাস পর বাংলা নববর্ষ পালনের জন্য দেশের আপামর জনগণ উদগ্রীব হয়ে আছে। এটা লক্ষ্যণীয় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতো বেসরকারি সংবাদপত্র, বীমা, ব্যাংক, গার্মেন্টস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই বছরে দুটি উৎসব ভাতা (ঈদ/পূজা) পেয়েছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শুধু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীই ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপনের জন্য বৈশাখী ভাতা পাবেন। কারণ এখনো বেসরকারি খাতে এই বোনাস দেয়ার ঘোষণা আসেনি। এর ফলে এদের কাছে বাংলা নববর্ষের উৎসবটাই ম্লান হয়ে যাবে।
ধর্মীয় উৎসব ভাতার বাইরে এইি আমাদের দেশের প্রথম সর্বজনীন উৎসব ভাতা ফলে সব প্রতিষ্ঠানেই যেন তা বাস্তবায়ন করে, সেটা নিশ্চিত করা উচিত।
রতন কান্তি বসাক
ঢাকা।
পুরনো ট্রেন
পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী পরিবহন হিসেবে সারা বিশ্বে রেলওয়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রেল একটি অবহেলিত খাত ছিল। উন্নয়নের পরিবর্তে দাতাদের পরামর্শে রেলওয়ের সেবা সংকুচিত করে আনা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার ফলে রেলওয়ে আবার নবজীবন লাভ করেছে। ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের বেশিরভাগ পথ ডাবল লাইন করে ফেলা হয়েছে।
রেলের যাত্রী ও পরিবহন সেবার মানোন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে ৭০টি ইঞ্জিন ও ২৭০টি কোচ সংগ্রহের কাজ চলছে। এর একটি বড় চালান এ বছরই রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন নতুন ট্রেন চালু করবে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, চট্টগ্রাম থেকে যথাক্রমে দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা রুটে একটি করে নতুন ট্রেন চালু করার প্রস্তাব।
নতুন ট্রেন সার্ভিসের উদ্যোগকে রেলওয়ের একজন নিয়মত যাত্রী হিসেবে স্বাগত জানাই।
তবে এর আগে পুরোনা ট্রেনগুলোর অবস্থান উন্নয়ন করার অনুরোধ করব। এসব ট্রেন পূর্ণ শক্তি ও বহণক্ষমতা নিয়ে যদি চলাচল করতে পারে, তাহলে রেলের যেমন জ্বালানি সাশ্রয় হবে, তেমনি ট্রেনের আধিক্যের কারণ রুটের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি হবে না।
নতুন বগি ও ইঞ্জিন দিয়ে নতুন রেল সার্ভিস চালু করার আগে এককালের জনপ্রিয় এসব ট্রেনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা উচিত। সেটা করা হলে মানুষ আরও উন্নত সেবা পাবে, সরকার ও দ্রুত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।
জয়দীপ দে
চট্টগ্রাম।
খালগুলো আবর্জনামুক্ত রাখুন
ভেবেছিলাম, ঢাকা নগরীর খালগুলো উদ্ধারের পরে নৌকো ভাসিয়ে যাব নিরুদ্দেশের দেশে....। কিন্তু সে সুযোগটুকু তো হলো না। এই যে ঢাকার রূপনগর-আরামবাগ সীমান্তের আরামবাগ খাল শাখা ২ নম্বর খালটি উদ্ধারের পর ভেবেছিলাম এই খালে নৌকো না ভাসুক অন্তত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে; হেঁটে যাওয়া যাবে দুই তীর থেকে। তা তো হয়নি। এ জন্য দায়ী কতিপয় মানুষ। এরাই নিয়মিত আবর্জনা খালে ফেলে এর চলার গতি নষ্ট করে দিয়েছে। আরামবাগ শাখা ২ নম্বর খালের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে ময়লার স্তূপ। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কেন, এই খালটি কিংবা অন্য খালগুলো সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিতে পারেন না? এর দায়িত্ব তারা কেনইবা এড়িয়ে চলছেন? যারা খালে বা এর তীরে আবর্জনা ফেলবেন তাদেরকে হাতে নাতে ধরে শাস্তি দেওয়া হলে খালগুলো আবর্জনামুক্ত রাখা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন