শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঈদের যে ৭ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২২, ৮:৩২ এএম

পবিত্র ঈদুল আজহার আগের তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিন দিন সারা দেশের মহাসড়কে যৌক্তিক কারণ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। পাশাপাশি এক জেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চালানো যাবে না। তবে যৌক্তিক ও অনিবার্য প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে বলে আজ রাতে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

গতকাল রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর সভাপতিত্বে (ভার্চুয়ালি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিত্যপণ্য, কাঁচামাল, ওষুধ, জ্বালানি তেল, গার্মেন্টস সামগ্রী, রপ্তানি পণ্য, পচনশীল দ্রব্য, পশুবাহী ট্রাক ছাড়া ভারী পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং লরি ঈদের আগের তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিন দিন সারা দেশের মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ। এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের উপরে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ সময় তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু পরিবহন না করার জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে সিএনজি ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পোশাক শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য তিনি বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর নেতৃবৃন্দদের প্রতিও আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহন এ পথে ঢাকায় আসবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এ চাপ মোকাবিলায় পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাসহ বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা এবং গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং বিভাগীয় কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন