সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

কার্ড ঘষলেই আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রতারণা নাকি কৌশল?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : চটকদার কার্ড ঘষলেই পাবেন আকর্ষণীয় ১০টি পুরস্কার। পুরস্কারগুলোর মধ্যে কার্ডের গায়ে উল্লেখ্য রয়েছেÑ ৪২ ইঞ্চি থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত এলইডি টিভি। এ ছাড়াও রয়েছে ২১ ইঞ্চি কালার টিভি, ল্যাপটপ, স্মার্ট মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল। চটকদার আকর্ষণে সাধারণ মানুষ এক হাজার টাকায় কার্ডটি ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
প্রতারণার শিকার হওয়া ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার হরিনারায়ণপুরের রেজীনা বেগম, মাকসুদ আলম, ও রেজু জানান, আমরা প্রথমে এক হাজার টাকায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একটি কার্ড ক্রয় করি। কার্ডটি ঘষে ১৭ ইঞ্চি একটি এলইডি টিভি পাই। পরে আবার সাড়ে ছয় হাজার টাকা পরিশোধ করে টিভিটি ক্রয় করি। টিভির সাথে সুন্দরবন কর্তৃপক্ষ আমাদের আবার ছয়টি কার্ড ধরিয়ে দেয়। কার্ডগুলো এক হাজার টাকা করে বিক্রি করার নির্দেশ দেন সুন্দরবন কর্তৃপক্ষ। আর সেই কার্ড বিক্রি করে অর্জিত টাকা ফেরত দিতে হবে না বলে জানান সুন্দরবন কর্তৃপক্ষ। তার কারণ যে কার্ডটি ক্রয় করবেন, সে আবার কার্ডটি নিয়ে সুন্দরবনে আসলেই সাড়ে ছয় হাজার টাকা জমা দিয়ে একটি এলইডি পাবেন, সাথে আরো ছয়টি কার্ড। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ভিন্নরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও শহরের নরেশ চৌহান সড়কে অবস্থিত সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। গত এক মাস ধরে গড়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড়’শ টিভি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে সুন্দরবন কর্তৃপক্ষ। আর এসব টিভি ব্যবহারের কয়েক দিনের মাথায় নষ্ট হতে শুরু করেছে। আবার বেশির ভাগ টিভি ক্রেতা সাথে পাওয়া ছয়টি কার্ডের একটিও বিক্রি করতে পারেননি। এতে একটি টিভির মূল্য পড়েছে সাড়ে সাত হাজার টাকা। যার খুচরা বাজার মূল্য পাঁচ-ছয় হাজার টাকা। সুলভ মূল্যের পরিবর্তে এ বিষয়ে এখনি প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে প্রতারণার শিকার হবে আরো অনেকে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমরা শুধু এখান থেকে টিভিগুলো ডেলিভারি দিচ্ছি মাত্র, এ ব্যবসার সাথে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস জড়িত নয়। এই টিভি ও কার্ডগুলো রাজধানী ঢাকার ইলেকট্রনিক্স মেলা দোকান, গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্স, ১৫৭/২ বি বি এভিনিউ গুলিস্থান ঢাকা-১০০০ থেকে পাঠায় আমাদের কাছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তারাই এ ব্যবসাটি চালু করেছে। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মান্নান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি দ্রæত বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন