নারায়নগঞ্জ থেকে বরিশাল নগরী সংলগ্ন শোলনায় পিতার বাড়িতে আসার পথে ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০’ নৌযানের ডেকের যাত্রী ঝুমুর বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধাত্রীর সহযোগিতায় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এসময় নৌযানটির কর্মচারীরা সহ যাত্রীরা ঝুমুর বেগম যাতে নির্বিঘেœ সন্তান প্রসব করতে পারেন তার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। ঝুমুর বেগমের স্বামী মোঃ হারিছ কুমিল্লায় একটি মুরগির দোকানের কর্মচারী। নৌযান কর্তৃপক্ষ তাদের লঞ্চে এই প্রথমবারের মত কোন সন্তান প্রসব করায় ১০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান ছাড়াও সন্তানটি সুস্থ অবস্থায় জন্ম নেয়ায় শিশুপুত্র সহ ঝুমুর বেগম ও তার স্বামীকে আজীবন বিনা ভাড়ায় পরিবহনের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে নৌযনটিতে কোন চিকিৎসক না থাকলেও একজন নার্স ছিলেন। তিনি প্রথমে সিজার করার পরামর্শ দিলেও হঠাৎ ষাটোর্ধ রানী বেগম নামের একজন ধাত্রী এগিয়ে আসায় ধাত্রী স্বভাবিকভাবেই ঝুমুর বেগমের সন্তান প্রসব করান। ঝুমুর বেগম জানান, চিকিৎসকের হিসেব অনুযায়ী আগামী মাসের ৬ তারিখ তার সন্তান প্রসবের তারিখ ছিল। ঝুমুর বেগমের মা ফোনে খবর পেয়ে মেষ রাতেই লঞ্চঘাটে এসে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানান এর আগে তার মেয়ের ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। লঞ্চের যাত্রী ফরিদা বেগম বলেন সব যাত্রীরাই যে যেভাবে পেরেছে প্রসুতির সহযোগীতা করেছেন। লঞ্চের সুপারভাইজার জানান, তারা প্রয়োজনে প্রসুতি মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য যতটা দ্রুত সম্ভব বরিশালে পৌছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন