বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অফিসের নতুন সময়সূচিকে যেভাবে দেখছেন নেটিজেনরা

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১১:০৫ এএম

জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেষ্টায় কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের জন্য জারি করা নতুন সময়সূচি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে নানাজন নানা মন্তব্য তুলে ধরেছেন।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার থেকে সকল সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এতদিন সরকারি কর্মীরা অফিস করতেন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা।

এখন থেকে ব্যাংকের কাজ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এতদিন ব্যাংকের দাপ্তরিক কাজের সময় ছিল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

এছাড়া স্কুল ও কলেজ সপ্তাহে দুইদিন বন্ধ থাকবে বলে সরকার জানিয়েছে।তবে সেটা কবে থেকে কার্যকর হবে, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে জানাবে।

তাসলিমা আক্তার নামে একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘যদিও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু সকাল সকাল কর্মস্থলে যাওয়া আবার বাসায় ও বিকালের আগে ফেরা। এটা একজন চাকরিজীবীর শরীর এবং মনে ভালো ইফেক্ট ফেলে। সব কিছু একটা নিয়মের মধ্যে থাকে। এই নিয়ম এমনিতেই চালু করার দরকার ছিল আগে থেকেই।’’

নতুন সময়সূচিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে ইমরান হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, ‘‘এটা খুবই একটি ভালো উদ্যোগ সাধুবাদ জানাই। বিশ্বের মেক্সিমাম উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোতে অফিস শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে আর আমাদের বাংলাদেশে নবাবী মার্কা দশটা থেকে পাঁচটা অফিস হয়।’’

তবে সমালোচনা করে নিজাম উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘ব্যাংক ১০টা থেকে ৬টা ছিলো, এখন ৯টা থেকে ৫টা। অফিসতো সেই ৮ ঘন্টাই থাকলো। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে কিভাবে? সরকারি সিদ্ধান্ত ৪টা পর্যন্ত হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার দিয়েছে ব্যাংক ৫টা পর্যন্ত খোলা।’’

আজাহার উদ্দিনের মন্তব্য, ‘‘বেসরকারি অফিস গুলার উপর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার হেডাম না থাকলে, শুধুমাত্র সরকারি অফিসের টাইম চেঞ্জ করে লাভ কী?সরকারি অফিসেতো বেসরকারি অফিসের মানুষেরও কাজ থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠান এমনিতেও ৩-৪ টার পর ওপেন কই থাকে!! সত্যিই যদি সৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে তাহলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর দিকে নজর দেন। এই দেশে বহুত অফিস আছে সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯-১০ টা পর্যন্ত ওপেন থাকে।’’


মাইনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘উত্তম সিদ্ধান্ত। সাধুবাদ জানাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি ত পাশ হয়েছিল আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে। সেটা আগেই বাস্তবায়ন হলো। ছাত্র, শিক্ষক দুই দিন ছুটি পাবে। বাকি পাঁচদিন সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করবে। এই যে বাড়তি একদিন ছুটি, এটা ছাত্র শিক্ষকের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। যারা বলে শিক্ষকের বেতন কমাও, ছাত্রদের পড়ালেখা লাটে উঠবে, তারা শিক্ষিত হতে পারে, সুশিক্ষিত না। হাজার কোটি টাকা লুট হবে- সে দিক নজর না দিয়ে শিক্ষকের বেতন কীভাবে কমানো যায়, লেগেছে সেদিক। মেধাবী ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হয়ে এসে একদিন ছুটি দেখে আফসোস করে। একজন শিক্ষকের কি আফসোস করার কথা? সুশিক্ষা ভালো মানুষ জন্ম দেয়, কুশিক্ষা জন্ম দেয় বাস্টার্ড।’’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন